খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০৭ অগাস্ট ২০২৫ | ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

১৭ হাজার কোটি রুপি ঋণ জালিয়াতি অনিল আম্বানিকে ইডির তলব

খবর প্রতিবেদন |
০১:২৭ এ.এম | ০২ অগাস্ট ২০২৫


ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী রিলায়েন্স গ্র“পের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিল আম্বানিকে ১৭ হাজার কোটি রুপি ঋণ জালিয়াতি মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য স্টেটসম্যান জানিয়েছে, ৫ আগস্ট রাজধানী দিলি¬তে ইডির সদর দপ্তরে অনিল আম্বানিকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে ইয়েস ব্যাংক ঋণ জালিয়াতি মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি অর্থ পাচার মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্র“পের বিভিন্ন কার্যালয় ও সংশ্লি¬ষ্ট ব্যক্তিদের বাসভবনে তল­¬াশি চালায় ইডি। এই তল­¬াশির সময় মুম্বাই ও দিলি­¬র বেশ কয়েকটি স্থান থেকে প্রচুর নথি, হার্ড ড্রাইভ এবং অন্যান্য ডিজিটাল রেকর্ড জব্দ করা হয়।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ও সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) যৌথভাবে এই অর্থ পাচার মামলার তদন্ত করছে। এটি একটি বড় তদন্তের অংশ, যেখানে আর্থিক অনিয়ম, তহবিলের অপব্যবহার, ঋণ জালিয়াতি এবং অর্থ পাচারের মতো বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইডি জানিয়েছে, তাদের তদন্তের মূল লক্ষ্য ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ কোনো ভুয়া কোম্পানির মাধ্যমে ঘুরিয়ে আনা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা। এ ছাড়া কোন কোন প্রতিষ্ঠান সেই অর্থের অপব্যবহার করেছে, তা খতিয়ে দেখবে ইডি। অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্র“পের কোনো কোম্পানি এর সঙ্গে জড়িত কি না, সেটাও খতিয়ে দেখবে ইডি ও সিবিআই।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, সিবিআইয়ে দায়ের করা এফআইআরের পর ইডি প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (ভারতীয় আইন) অধীনে রিলায়েন্স গ্র“পের কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের তদন্ত শুরু করে। ন্যাশনাল হাউজিং ব্যাংক, সেবি, ন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অথোরিটি এবং ব্যাংক অব বরোদার মতো অন্যান্য সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানও ইডিকে তথ্য সরবরাহ করেছে।
ইডির প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ব্যাংক, শেয়ারহোল্ডার, বিনিয়োগকারী এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রতারণা করে জনগণের টাকা আত্মসাৎ করার জন্য একটি সুপরিকল্পিত ও সুচিন্তিত কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। ইয়েস ব্যাংকের প্রোমোটারসহ ব্যাংক কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগও তদন্তের আওতায় এসেছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ