খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০৭ অগাস্ট ২০২৫ | ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

ডুমুরিয়ায় মরা ও রুগ্ন গরু জবাই করে বিক্রির অভিযোগে ৩ কসাইয়ের কারাদন্ড

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি |
০২:০৭ এ.এম | ০৪ অগাস্ট ২০২৫


ডুমুরিয়ায় রোগা ও মরা গরু জবাই করে বিক্রির অভিযোগে ৩ কসাইকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় জব্দকৃত প্রায় ১২ মণ মাংস মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হয়। রোববার উপজেলার নরনিয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী। 
অভিযানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আশরাফুল কবির, প্রাণিসম্পদ স¤প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ পপি রায়,থানা পুলিশের একটি দল, চুকনগর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সরদার বিল¬াল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন চাকুন্দিয়া গ্রামের মৃত কাশেম গাজীর ছেলে মোস্তাক গাজী (৪৫), বাদুড়িয়া গ্রামের মৃত ভেলু সরদারের ছেলে ইয়াকুব সরদার (৫২) ও কেশবপুর এলাকার জাকির মোড়লের ছেলে সাইফুল ইসলাম মোড়ল(২২)।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ ও মরা গরু জবাই করে খুলনাসহ বরিশাল, গোপালগঞ্জ ও পিরোজপুর জেলা সদরের বিভিন্ন নামী-দামি হোটেলে বিক্রি করে আসছে এই চক্রটি। চুকনগর-যশোর সড়কের পাশে নরনিয়া গ্রামে আবুল কালামের নির্জন একটি জায়গায় সেমি পাকা ঘর তৈরি করে সেখানে কসাইয়ের কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন তারা। তাদের বিরুদ্ধে কম মূল্যে অসুস্থ এবং মরা গরু ক্রয় করে জবাইয়ের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিনের। এলাকার কিছু প্রভাবশালী অসাধু লোক এ চক্রের সাথে জড়িত আছে। আর এই কাজের মূল হোতা গোপালগঞ্জের নাছির উদ্দিন। তবে তিনি এবং তার প্রতিনিধি কেশবপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ইমান আলী অভিযানের সময় পলাতক ছিলেন। শনিবার রাতে ৩টি গরু জবাই করে তারা। ওই রাতেই বিভিন্ন হোটেলে সরবরাহ করার কথা ছিলো। সদ্য জবাইকৃত গরুর মধ্যে একটি মৃত এবং দু’টি অসুস্থ ছিলো, যেটা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সনাক্ত করেন। রাতে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় মাংস উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়। এছাড়া দু’টি বড় ডিপ ফ্রিজেও ভরা ছিলো গরুর মাংস।
ডুমুরিয়া সহকারি কমিশনার (ভূমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী জানান, কসাইদের বিরুদ্ধে রোগাক্রান্ত এবং মরা গরু জবাইয়ের অভিযোগ ছিলো। যেটা প্রমাণিত হয়েছে এবং তারা অপরাধ স্বীকার করেছেন। দীর্ঘদিন যাবত খুলনাসহ বিভিন্ন জেলা শহরের হোটেলগুলোতে তারা এ ধরনের মাংস বিক্রি করে আসছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ (২০০৯) আইনে প্রত্যেককে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় আটলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, চুকনগর বাজারে ৩০টির বেশি ভাতের হোটেল রয়েছে। এ বাজারে কয়েকটি নামি-দামি হোটেলও আছে। আমরা কি খাচ্ছি তা জানিনা। এজন্য কয়েকবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে চুকনগর বাজারে একটি কসাই খানা স্থাপনের জন্য দাবি করে আসছি।

্রিন্ট

আরও সংবদ