খুলনা | রবিবার | ১০ অগাস্ট ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় ওয়ান-ইলেভেনের ধোঁয়াশা কেটে গেছে: গণঅধিকার

খবর প্রতিবেদন |
০৩:০৪ পি.এম | ০৬ অগাস্ট ২০২৫


গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন। এতে ১/১১ সৃষ্টির ধোঁয়াশা কেটে গেছে। কিন্তু নির্বাচনের আগে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।’

বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে জুলাই ঘোষণাপত্র ও নির্বাচনের রোডম্যাপের প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলন করে গণঅধিকার পরিষদ। এতে বক্তব্য রাখেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন।

রাশেদ খাঁন বলেন,‘জুলাই ঘোষণাপত্রের ১৬ নং দফায় বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার বিলোপ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ইত্যাদি...২০২৪ সালে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয় ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে বাতিল হওয়া কোটার অংশবিশেষ (৩০ শতাংশ) হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে ফিরে না এলে নতুনভাবে আন্দোলনের সূচনা হতো না। এখানে দুর্নীতি প্রতিরোধ বা অন্য কোনও দাবিতেও আন্দোলন শুরু হয়নি। অর্থাৎ গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট কোটা সংস্কার আন্দোলন।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু এই আন্দোলনের ইতিহাস বাদ দিয়ে মিথ্যা ইতিহাসের ওপর জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা মনে করি, গণঅধিকার পরিষদ ও ছাত্র অধিকার পরিষদের ১৮ থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস বাদ দিতে পরিকল্পিতভাবে জুলাই ঘোষণাপত্রে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। ইতিহাস বিকৃতি বড় ধরনের অপরাধ। জুলাই ঘোষণাপত্রের এই ইতিহাস আগামী প্রজন্মকে মিথ্যা শেখাবে। ঠিক ৭১ নিয়ে যেভাবে আমাদের মিথ্যা শেখানো হয়েছে। তাহলে আওয়ামী লীগের তৈরি ইতিহাস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তৈরি ইতিহাসের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?’

গণঅধিকার পরিষদ জুলাই ঘোষণাপত্রের ১৭ নং পয়েন্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

দলটি বলে, ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের ১৮ নং পয়েন্টে বলা হয়েছে, গণভবনমুখী জনতার উত্তাল যাত্রার মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়.... হাসিনা কি সত্যিই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়? আজও আমরা জানি না কীভাবে হাসিনা ভারতে চলে গেলো?’

গণঅধিকার পরিষদের অভিযোগ, জুলাই ঘোষণাপত্র থেকে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, ভ্যাটবিরোধী আন্দোলন, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড, নরেন্দ্র মোদির আগমনবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড, পরিকল্পিত বিডিয়ার বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন সেনা অফিসারের হত্যাকাণ্ড, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি স্থান পায়নি।

এসব ঘটনা এই প্রজন্মের মস্তিষ্ক ও মনস্তত্ত্বে বিপ্লবের বীজ বপণ করে ও তারুণ্যকে বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করে। কিন্তু কেন ও কোন উদ্দেশ্য তারুণ্যের এই সংগ্রামকে জুলাই ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হলো না? প্রশ্ন পরিষদের।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, অ্যাডভোকেট সরকার নূরে এরশাদ সিদ্দিকী প্রমুখ।

্রিন্ট

আরও সংবদ