খুলনা | সোমবার | ১১ অগাস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যার দায়ে বাবাসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

খবর প্রতিবেদন |
০৩:৩০ পি.এম | ০৬ অগাস্ট ২০২৫


কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে হত্যার দায়ে বাবাসহ একই পরিবারের ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়। মামলার অপর আসামি মোছা. নাজমুন্নাহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

আজ বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমিন বিপ্লব এ রায় ঘোষণা করেন।

জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আদালত দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করেছেন। তবে আসামিরা জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার কিরাটন ইউনিয়নের ভাটিয়া জহিরকোনা গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিবের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম আঙ্গুর, তার ভাই খুর্শিদ মিয়া ও ভাতিজা সাদেক মিয়া। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিবরণে উল্লেখ রয়েছে, আনোয়ারুল ইসলাম আঙ্গুরের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে একই এলাকার আবু বকর সিদ্দিকসহ কয়েকজনের বিরোধ ছিল। এ বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গত ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট আঙ্গুর ও তার ভাই-ভাতিজা মিলে আঙ্গুরের মেয়ে মীরা আক্তার আসমাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তার লাশ বাড়ির পেছনে জঙ্গলে ফেলে রাখে।

এ ঘটনার পরদিন ১১ আগস্ট আঙ্গুর বাদী হয়ে আবু বকরসহ ১৬ জনের নামে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু তদন্তকালে পুলিশ হত্যার সঙ্গে মীরার বাবা আনোয়ারুল ইসলাম আঙ্গুরসহ কয়েকজন স্বজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পায়। তাই হত্যা মামলায় আসামিরা জড়িত না থাকায় ২০১৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়। পরে ওই দিনই করিমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলক কুমার দত্ত বাদী হয়ে নিহত মীরার বাবা আনোয়ারুল ইসলাম আঙ্গুর, তার ভাই খুর্শিদ মিয়া, ভাতিজা সাদেক মিয়া ও আঙ্গুরের স্ত্রী মোছা. নাজমুন্নাহারকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ৪ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

্রিন্ট

আরও সংবদ