মোংলা কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ জলদস্যু আসাবুর বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড বাদসা গাজী সহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। সুন্দরবনের শিপসা নদীর শরবতখালী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আজ বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

কোস্ট হার্ড ও জেলেদের পক্ষ থেকে জানা যায়, ইলিশ মৌসুম শুরু হওয়ায় সুন্দরবনে আবারও দাপিয়ে রেড়াচ্ছে প্রায় ৬টি জলদস্যু বাহিনী। তার মধ্যে করিম শরিফ, মোহন ও আসাবুর বাহিনীর সদস্যদের অস্ত্র সংখ্যা বেশী থাকায় বনের বিভিন্ন নদী ও খালে ছুটে বেড়াচ্ছে। প্রশাসনের চোখঁ ফাকি দিয়ে জেলেদের করছে অপহরণ, আদায় করছে মুক্তিপন। মুক্তপন না দিলে তাদের উপর চালানো হয় নানাবিধ অত্যাচার-নির্যাতন।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা আরো জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ৫ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু আসাবুর বাহিনীর সদস্যরা জেলেদের অপহরণ ও ডাকাতির উদ্দেশ্যে সুন্দরবনের শিবসা নদী সংলগ্ন শরবতখালী এলাকায় অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড মোংলার একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টা করলে আভিজানিক দল আত্মসমর্পণ আহ্বানের উদ্দেশ্যে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছুঁড়ে। পরবর্তীতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে দুই দস্যুকে আটক করতে সক্ষম হয় কোস্ট গার্ড। এসময় তল্লাশী করে তাদের কাছ থেকে ৩টি একনলা বন্দুক, ১০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৫ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে এবং সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু আসাবুর বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড বাদশা গাজীসহ ২ জনকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃত ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন যাবৎ জলদস্যু আসাবুর বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতি এবং ডাকাত দলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা ও জেলে অপহরণ সহ মুক্তিপন আদায় করে আসছিলো।

আটককৃত জলদস্যু বাদশা গাজী (৪৫) ও মেহেদী হাসান (২৭) উভয়ই খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার বাসিন্দা বলে জনায় কোস্ট গার্ড।

আটককৃত দুই জলদস্যু ও জব্দকৃত অস্ত্রসহ সকল মালামাল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বিসিজিএস স্বাধীন বাংলা জাহাজের নেভিগেটিং কর্মকর্তা লেঃ মোঃ খালিদ সাইফু্ল্লাহ্ বলেন, সম্প্রতি সুন্দরবনে বেশ কয়েকটি দস্যু গ্রুপ আবারও মাথচারা দিয়ে উঠছে। আমরাও প্রস্তুত রয়েছি, সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে কোস্ট গার্ডের অভিযান চলছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখবে।