খুলনা | রবিবার | ১০ অগাস্ট ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২

চার মাস নিম্নমুখী থাকার পর জুলাইয়ে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি

খবর প্রতিবেদন |
০৩:২২ পি.এম | ০৭ অগাস্ট ২০২৫


জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে দশমিক ৭ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হালনাগদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের জুলাই মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এক মাস আগে যেটা ছিল ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ। অর্থাৎ জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়াল শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বাড়ায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

বিদায়ী মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। যা জুন মাসে ছিল ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ। তবে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়েছে। জুন মাসে খাদ্য বর্হিভুত খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ। জুলাই মাসে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

এক মাস হিসেবে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও গত বছরের একই সময়ের তুলায় মূল্যস্ফীতি কমেছে ৩ দশমিক ১১ শতাংশ। ২০২৪ সালের একই সময়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এই সময়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল দ্বিগুণ।

এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ নেয়। এর কিছুটা সুফল মিলছে।

গত দুই-তিন বছর ধরে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। এনবিআরও তেল, আলু, পেঁয়াজ, ডিমসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যে শুল্ক-কর কমিয়ে দেয়। বাজারে নিত্যপণ্যের আমদানিপ্রবাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করা হয়।

্রিন্ট

আরও সংবদ