খুলনা | সোমবার | ১১ অগাস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

জাতীয় নির্বাচন আসন্ন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হোক

|
১২:৩৪ এ.এম | ০৮ অগাস্ট ২০২৫


দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শুধু নয়, সাধারণ মানুষের আড্ডায়-আলোচনায়ও মুখ্য বিষয় এখন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন। পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশনের টক শো, গোলটেবিল, সভা-সেমিনার-সর্বত্রই নির্বাচনের নানা দিক আলোচিত হচ্ছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়েও কথা হচ্ছে। বিশেষ করে এই আলোচনা গতি পায় গত ১৩ জুন লন্ডনে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর।
সেই বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার বরাতে বলা হয়েছিল, ‘সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।’ পবিত্র রমজান শুরু হতে পারে ফেব্র“য়ারির ১৮ তারিখে। সেই হিসাবে ফেব্র“য়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে এটাই মানুষের বদ্ধমূল ধারণা হয়ে গেছে। রাজনৈতিক দল এবং সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। অবশ্য নির্বাচন নিয়ে কিছু অস্পষ্টতাও যে ছিল না, তা নয়। অভিযোগ উঠছে, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠী সংস্কার ও বিচারকে অজুহাত করে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে। তারা বলছে, এসব দাবি পূরণ ছাড়া নির্বাচন নয়। জামায়াতে ইসলামীর আমির ডাঃ শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দেশের এই পরিস্থিতিতে কিসের নির্বাচন? কী নির্বাচন হবে? সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অবশ্যই আগে পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
‘অন্যদিকে কোনো কোনো দল জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দাবি করছে। সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বক্তব্যও সন্দেহের কারণ হচ্ছে। এসব কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে জনমনে এক ধরনের সংশয় তৈরি হয়। অনেক রাজনীতিবিদও এ বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সমপ্রতি তারেক রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো একটি অংশের সহায়তায় দেশে কেউ উদ্দেশ্যমূলক পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে কি না সেই প্রশ্ন তোলেন।একই সঙ্গে প্রতিশ্র“ত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কেউ সময়ক্ষেপণ করতে চাইছে কি না সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহŸান জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করে এনেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে আসার পর গত ৮ জুলাই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘নির্বাচনের জন্য ফুলগিয়ারে প্রস্তুতি চলছে।’ এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আগামী ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। তাঁর প্রদত্ত সময় অনুযায়ীও ফেব্র“য়ারির মধ্যে নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন।
গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রত্যাশা ছিল মানুষের ভোটাধিকার বা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা। সেই প্রত্যাশা পূরণের পথেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা চাই, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চর্চা ও নির্বাচনের ইতিহাসে একটি অনন্য মাইলফলক হয়ে থাকুক।

্রিন্ট

আরও সংবদ