খুলনা | রবিবার | ১৭ অগাস্ট ২০২৫ | ১ ভাদ্র ১৪৩২

সফলতা ও ব্যর্থতার মানদণ্ডে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

খবর প্রতিবেদন |
০৫:২৯ পি.এম | ০৮ অগাস্ট ২০২৫


আজ ৮ আগস্ট। গত বছরের এই দিনেই নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। দেখতে দেখতে একটি বছর পার করে ফেলল সেই সরকার। এই সময়ের মধ্যে তাদের সফলতা কী, ব্যর্থতাই বা কোথায় কোথায়?

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে নিয়ে এই আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে অর্থনীতি, বিচার সংস্কার এবং মব ভায়োলেন্সের মতো ইস্যুগুলো। এ সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা কী- এই প্রশ্নে অর্থনীতিতে ব্যাংক, বাজার, রিজার্ভসহ সার্বিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তারা কৃতিত্ব পাচ্ছে।

তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মব ভায়োলেন্স, মৌলিক সংস্কার এমনকি বিচার প্রক্রিয়ার কিছু বিষয়ে সরকারের ভূমিকার নানা সমালোচনা করছেন পর্যবেক্ষক এবং বিশ্লেষকরা। কারণ, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের সামনে সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন অনুষ্ঠান- এই তিনটি বড় দায়িত্ব ছিল। এছাড়া ভঙ্গুর অবস্থা থেকে দেশের অর্থনীতিকে সামাল দেওয়ার চ্যালেঞ্জও ছিল।

অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা
অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনা এবং বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সামাল দিতে ইউনূস সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা প্রশংসনীয়। তবে বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নয়ন না হওয়ায় দুর্বলতার কথাও সামনে আনছেন অর্থনীতিবিদরা।

এ ব্যাপারে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলছেন, ‘যে অর্থনীতি এ সরকার উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছিল, সেটা খুবই জটিল অবস্থার ভেতরে ছিল। অর্থনীতিতে সামষ্টিক স্থিতিশীলতার একটা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে ছিল সরকারের পক্ষ থেকে মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা, টাকার পতন আটকানো, সুদের হার একটা অবস্থায় রাখা, বাজেট ঘাটতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ইত্যাদি। কাজের ভেতরে সাফল্য এসেছে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই।’

তবে অর্থনীতির এই সাফল্যটা মূলত হয়েছে বাইরের খাতে বা এক্সটার্নাল সেক্টরে। অর্থাৎ রেমিট্যান্স বেড়েছে, রফতানি চালু আছে, আমদানি কম হওয়ার ফলে বৈদেশিক লেনদেনে একটা ভারসাম্য এসেছে এবং সরকার অনেক পুরনো বিদেশি ঋণ শোধ করেছে। এই সময়কালে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ সে অর্থে কমেনি বলে মনে করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তবে তার দৃষ্টিতে, কর আহরণ বা আরও কার্যকরভাবে সরকারের বিনিয়োগ বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অনেক বড় দুর্বলতা রয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় দুর্বলতা রয়ে গেছে আমরা ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ চালু করতে পারি নাই। যে কর্মসংস্থানের আকাঙ্ক্ষা থেকে গণঅভ্যুত্থান হলো, সেই কর্মসংস্থানের জায়গাটা দুর্বল রয়ে গেল।’

অর্থনীতিতে সরকারের সমস্যার জায়গা তুলে ধরে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলছেন, ‘সরকার অনেক সংস্কারের কথা বলে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মধ্যমেয়াদী নীতিকাঠামো দেওয়া হয়নি অর্থনীতির।

তিনি বলেন, ‘সরকার সফল হয়েছে কী ব্যর্থ হয়েছে, এটা কোন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আমি মূল্যায়ন করব, তা পারছি না। আমি যেটা পারি সেটা হলো যে, আগে কী ছিল, এখন কী হয়েছে। সেহেতু আগের সঙ্গে পরের তুলনা করে আমরা দেখি যে, একটা মিশ্র পরিস্থিতি এখানে আছে।’

বিচার ও সংস্কার
অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে বড় দায়িত্ব ছিল জুলাই গণহত্যার বিচার এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে নির্বাচন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ বাহিনীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে মৌলিক কিছু সংস্কার করা।

এ ব্যাপারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবির) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন- তিনটি ক্ষেত্রেই কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে সরকার একটি রূপরেখা দিয়েছে।’

তবে বিচার ও সংস্কার ইস্যুতে অগ্রগতির বেলায় বর্তমান সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। গত এক বছরের বিচারব্যবস্থা প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বিচার প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ, এ নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নাই।’

কারণ হিসেবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ঢালাও মামলার ব্যাপারে শুরু থেকেই তাদের উদ্বেগ রয়েছে। এটি কোনো দেশেই বিচার প্রক্রিয়ার জন্য সুষ্ঠু না বলে তারা মনে করেন।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিকারের উপায় সরকারকেই বের করতে হবে। সেদিকে আমরা তেমন কিছু দেখি না। কতটুকু বিচার, কতটুকু প্রতিশোধ এই প্রশ্নটা ওঠা খুবই যৌক্তিক, যেভাবে চলছে। অন্যদিক থেকে আবার বিচারকেন্দ্রিক অনিয়ম-দুর্নীতি যেমন- মামলা বাণিজ্য, গ্রেফতার বাণিজ্য, জামিন বাণিজ্য এই বিষয়গুলো মোটামুটি এক ধরনের স্বাভাবিকতায় রূপান্তর করা হয়েছে।’

অভ্যুত্থান-পরবর্তী বর্তমান প্রশাসনেও দলীয়করণ চলছে বলে সমালোচনা আছে। বলা হচ্ছে, এক দলের জায়গায় অন্য দল এসে বসেছে।

এ ব্যাপারে ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, ‘এই দলীকরণ হয়েছে সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন পর্যায় পর্যন্ত। যার ফলে একটি সুশাসিত, জবাবদিহিমূলক প্রশাসন বা আমলাতন্ত্র বা সরকার পরিচালনা ব্যবস্থার পথে যে অগ্রগতির সম্ভাবনা ছিল, সেটি আমরা অর্জন করতে পারিনি বা রাষ্ট্র সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে।’

ইফতেখারুজ্জামান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ছিলেন। এছাড়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশনেরও সদস্য।

তিনি বলছেন, ‘দ্বিতীয় পর্যায়ে যে পাঁচটি সংস্কার কমিশন, সে কমিশনগুলো যথাযথ সময়ে রিপোর্ট দিয়েছে। রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আশু করণীয় প্রস্তাবনাগুলো জমা দিয়েছে সরকারের কাছে। কিন্তু সেগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা নাই, কোনো অগ্রগতি নাই।’

তার ভাষায়, ‘দুদক সংস্কার কমিশনসহ প্রথম দফার ছয়টি কমিশনের মধ্যে যে পাঁচটি কমিশনের আশু করণীয় প্রস্তাবগুলো এসেছে, সেগুলোর ভাগ্যে কী হয়েছে- এ প্রশ্নের জবাব কিন্তু সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যায় না। যদিও সরকার বলছে ‘পদক্ষেপ নিচ্ছি’, কিন্তু বাস্তবে বলার মতো কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’

তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে পিক অ্যান্ড চুজ। যেমন প্রশাসনিক সংস্কারের ক্ষেত্রে কমিশনের শতাধিক সুপারিশ ছিল, তার মধ্যে থেকে দেড় ডজনের মতো সুপারিশ পিক করা হয়েছে; যেখানে প্রাধান্যটা যদি দেখি, একটা দৃষ্টান্ত হচ্ছে- টয়লেট পরিষ্কার রাখতে হবে। বাংলাদেশে প্রশাসন সংস্কারের যে মৌলিক জায়গাগুলো সেগুলো কোথায়?’

আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও মব ভায়োলেন্স
ড. ইউনূসের নেতৃত্বের সরকারের গত এক বছরে সারাদেশে মব ভায়োলেন্স নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। গত এক বছরের এই মব সংস্কৃতি এবং এক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক জোবাইদা নাসরীন।

তিনি বলেন, ‘সরকার বা সেনবাহিনী বলছে যে, মব ভায়োলেন্স টলারেট করবে না। কিন্তু কার্যত আমরা দেখতে পাচ্ছি, মবের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এবং সরকার বিভিন্ন সময় একে বৈধতা দিয়েছে বলে মনে হয়েছে।’

উদাহরণ দিয়ে জোবাইদা নাসরীনে বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট- এর মাধ্যমে মব বৈধতা পেয়েছে। তারপরে তৌহিদি জনতা। তারপর আমরা দেখেছে প্রেস সচিব বলেছেন, এটা একটা প্রেসার গ্রুপ। এই যে বিভিন্নভাবে মবকে বৈধতা দেওয়া, এইটাকে আমি মনে করি সরকারের জন্য একটা নেগেটিভ পয়েন্ট হিসেবে কাজ করেছে। মব একটা আতঙ্কের জায়গা তৈরির ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা রাখছে।’

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে, গত এক বছরের পর্যবেক্ষণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে উল্লেখ করে খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, ধর্ষণ, লুটপাট অরাজকতা এবং আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতাসহ গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা আশঙ্কাজনক বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।

মব নিয়ে সমালোচনার মুখে বিভিন্ন সময় সরকারের উপদেষ্টারা বলেছেন, মব ভায়োলেন্সকে সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করে না, এমনকি এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জোবাইদা নাসরীন বলেন, গত এক বছরে দলীয় সমর্থন-সহযোগিতা সবকিছু পাওয়ার পরেও বিভিন্ন বিষয়ে সঠিকভাবে, সঠিক সময়ে এবং জনগণের মতো করে হ্যান্ডেল করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। আমি বলব, আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে ব্যর্থ হয়েছে। মানুষের ভয়ের যে সংস্কৃতি সেটা থেকে মানুষকে বের করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এছাড়া শেখ হাসিনার শাসনের যে কর্তৃত্ববাদী শাসনের ছায়া, সেটা থেকে বের করতেও ব্যর্থ হয়েছে।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উন্নতির জন্য সরকার সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে মাঠে রেখেছে। সরকারের দাবি, পরিস্থিতির উন্নতির জন্য চেষ্টার ঘাটতি নেই।

যেকোনো একটা অভ্যুত্থানের পরে নানারকম পটপরিবর্তন হয়। সেক্ষেত্রে নানারকম চ্যালেঞ্জ থাকে। এক বছর কিন্তু সেই পটপরিবর্তন এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট সময় বলে মনে করেন জোবাইদা নাসরীন।

তার কথায়, ‘অনেকে বলছেন যে এক বছরে অনেককিছু বোঝা যাবে না, কিন্তু কিছু জায়গায় কিন্তু স্পষ্টই বোঝা যাবে। সেটা হলো সরকার কোন মতাদর্শকে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য গ্রহণ করছে।’

জোবাইদা নাসরীন বলছেন, ‘সরকার জনগণের মতামতকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে, সরকার তার ইতিহাসের দিকে কতটা তাকাচ্ছে, সরকার মানুষের সমালোচনাকে কতটা আমলে নিচ্ছে, এটা গুরুত্বপূর্ণ।’

অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতেও একটা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেকের কাছে গুরুত্বহীন, কিন্তু আমি বলবো এই সরকারের একটা বড় ব্যর্থতা হলো বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধ, সেটাকে এ সরকারের বিভিন্ন ফোরাম থেকে আঘাত করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধকে নাই করে দেওয়া, তার বিরুদ্ধে অবস্থান এবং মুক্তিযুদ্ধকে হেনস্তা করা, মুক্তিযুদ্ধকে চব্বিশের সঙ্গে তুলনা করার যে একটা মানসিকতা তৈরি হচ্ছে, সেটা আমি মনে করি যে ঐতিহাসিকভাবে একটা হুমকির জায়গা।’

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা
বাংলাদেশে অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের একটা বড় সমালোচনার জায়গা ছিল মানুষের মত প্রকাশে স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের জোরালো অভিযোগ। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এসেও দেখা যাচ্ছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে বড় অস্বস্তি।

গত এক বছরে দুই শতাধিক গণমাধ্যমকর্মীকে ঢালাওভাবে হত্যা মামলায় জড়ানো বা আসামি করা হয়েছে। জোরপূর্বক চাকরিচ্যুত করার ঘটনা ঘটেছে। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান দখলের মতো অভিযোগও সামনে এসেছে।

এক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন টিআইবির ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল থেকে শুরু করে অনেককে চাকরিচ্যুত করা বা প্রতিষ্ঠান দখল করে নেওয়া বা নেতৃত্বের পরিবর্তন করা, এডিটোরিয়াল চেঞ্জ করা- এ ধরনের কাজগুলো কিন্তু সরকারের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ অংশগ্রহণে হয়েছে, যেটি একটা বিতর্কিত পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।’

গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত সরকারের এক বছরের মূল্যায়নে সুশাসন, দুর্নীতি প্রতিরোধ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। দলীয়করণের নতুন রূপ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বজনপ্রীতি, সুবিধা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ এড়াতে পারেনি এই সরকার।

সার্বিকভাবে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের এক বছরে ব্যর্থতার দায় প্রসঙ্গে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটি সরকারের যেমন ব্যর্থতা, রাজনৈতিক অঙ্গনের ব্যর্থতা, রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ব্যর্থতা, আমলাতান্ত্রিক শক্তির ব্যর্থতা।’

তিনি বলেন, ‘সার্বিকভাবে সরকারকে তো দায় নিতেই হবে। সরকারের নিজের অনেক সিদ্ধান্ত কিন্তু বিতর্কিত হয়েছে। সেটার মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বার্থের দ্বন্দ্ব-প্রসূত সিদ্ধান্ত বেশ কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং আমাদের পর্যবেক্ষণে আমরা দেখতে পেয়েছি।’

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘সেখানে দায়টা, দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার যে দায়িত্বটা, যে ধরনের মানসিকতা বা চর্চাটা অন্তর্বর্তী সরকার পেয়েছিল, সেখানে তাদের নিজেদের ব্যর্থতাটা আমরা দেখতে পেলাম।’ সূত্র: বিবিসি

্রিন্ট

আরও সংবদ