খুলনা | রবিবার | ১০ অগাস্ট ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২

পাইকারীর চেয়ে খুচরায় পেঁয়াজের দাম বেশি

খুলনায় পেঁয়াজ ও ভোজ্য সয়াবিনের বাজার আগুন

আল মাহমুদ প্রিন্স |
০১:২১ এ.এম | ১০ অগাস্ট ২০২৫


খুলনায় পেঁয়াজ ও ভোজ্য সয়াবিন তেলের বাজার অগ্নিমুখী হয়ে উঠেছে। একসপ্তাহ ধরে এ দু’টি পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের মূল্য কেজিপ্রতি ২৫ টাকা ও ভোজ্য সয়াবিন লিটার প্রতি বেড়েছে এক টাকা। তবে পেঁয়াজের দাম পাইকারীর তুলনায় খুচরায় দামের তফাৎ অনেক। তিন সপ্তাহ আগে ভোজ্য সয়াবিন প্রতিলিটার বিক্রি হয়েছে ১৭৫ টাকা দরে। যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৮৩ টাকা দরে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্য দু’টির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। বাজার দর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার না থাকায় এসব পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এমনই মন্তব্য করেছেন অধিকাংশ ভোক্তা।
গতকাল শনিবার নগরীর এ্যাপ্রোচ রোডস্থ রূপসা কেসিসি মার্কেট, ময়লাপোতা, নতুন বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগে একই পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৫০-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।  
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ২০ জুন নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ সেই একই পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। নগরীর সোনাডাঙ্গা ট্রাক টার্মিনাল পাইকারি বাজারের আড়তে একই পেঁয়াজ ৬৫-৬৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। পাইকারি বাজারের চেয়ে খুচরা বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দামের ব্যবধান ১০ থেকে ১২ টাকা। ফলে বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের ভোক্তা। পেঁয়াজের দাম যাতে নিম্নমুখী হয় এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 
সোনাডাঙ্গা কাঁচা বাজারের পাইকারি বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের আমদানি কিছুটা কম হলেও সব মিলিয়ে পেঁয়াজের যথেষ্ট আমদানি আছে। বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ অমিল। এক সপ্তাহের মধ্যে হয়তো বাজারে এলসি অর্থাৎ, ভারতীয় পেঁয়াজ পাওয়া যাবে। এলসি পেঁয়াজ বাজারে উঠলে দেশি পেঁয়াজের দাম হয়তো নেমে যাবে। আগামী ১৫ আগস্ট এলসি পেঁয়াজের অনুমোদন দিলে দাম হ্রাস পাবে।  
কমছে না নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোজ্য সয়াবিন তেলের মূল্য। বাজারে বোতলজাত ফ্রেশ, তীর, বসুন্ধরা সয়াবিন (৫লিটার) বিক্রি হয়েছে ৯১৫ টাকা দরে। লিটারপ্রতি যা বিক্রি হয় ১৮৩ টাকা দরে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লুজ সয়াবিন। খুচরা বাজারে যা লিটারপ্রতি বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা দরে। অথচ তিন সপ্তাহ আগে (২০ জুন) নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে বোতলজাত ফ্রেশ, তীর, বসুন্ধরা সয়াবিন (৫ লিটার) বিক্রি হয়েছে ৮৭৫ টাকা দরে। যা লিটারপ্রতি বিক্রি হয় ১৭৫ টাকা দরে। লুজ সয়াবিন লিটারপ্রতি যা বিক্রি হয় ১৭৪ টাকা দরে। 
নগরীর এ্যাপ্রোচ রোডস্থ কেসিসি সুপার মার্কেটে আসা ক্রেতা সলেমান মোল­া বলেন, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক। নগরীর ময়লাপোতা মোড়স্থ কেসিসি সন্ধ্যা বাজারে আসেন মৎস্য ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। দাম হ্রাসের ব্যাপারে তিনি কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।      

্রিন্ট

আরও সংবদ