খুলনা | রবিবার | ১০ অগাস্ট ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২

১১২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর দাবি মুম্বাই পুলিশের

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩২ এ.এম | ১০ অগাস্ট ২০২৫


ভারতের পশ্চিম উপক‚লীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইয়ে অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান পরিচালনা করেছে পুলিশ। মুম্বাই মহানগর অঞ্চলে (এমএমআর) অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। বৃহস্পতিবার মুম্বাই পুলিশ ১১২ বাংলাদেশিকে গ্রেফতারের পর দেশে ফেরত পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে।  
দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার ওই ১১২ অভিবাসীকে প্রথমে পুনেতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বৃহস্পতিবার ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) বিশেষ বিমানে করে আসাম-বাংলাদেশ সীমান্তে পাঠানো হয়। পরে সেখানে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই অভিবাসীদের। ওই বাংলাদেশিদের মধ্যে ৯২ জনকে মুম্বাই এবং ২০ জনকে মীরা-ভায়ান্দার ও থানে এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মুম্বাই পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেছেন, কেবল গত বৃহস্পতিবারই ৯২ বাংলাদেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ফলে এ নিয়ে চলতি বছর মুম্বাই থেকে বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরতের সংখ্যা বেড়ে ৭১৯ জনে পৌঁছেছে। কিন্তু গত বছর মুম্বাই থেকে বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১৫২ জন।
নথি অনুযায়ী, এসব অবৈধ অভিবাসীকে গত ১২ জুন থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে মুম্বাইয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ৯২ জনের মধ্যে ৪০ জন নারী, ৩৪ জন শিশু এবং ১৮ জন পুরুষ। তবে মীরা-ভায়ান্দার ও থানেতে আটক ২০ বাংলাদেশির বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
রাজ্য পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘‘এখন থেকে অবৈধ অভিবাসীদের আসাম-বাংলাদেশ সীমান্তে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এই কাজ সম্পন্ন করা হবে। সেখান থেকে অভিবাসীদের বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির হাতে হস্তান্তর করা হবে।’’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের আরেক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‘গত ১ জানুয়ারি থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত মুম্বাই পুলিশ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে অবস্থান করা ৭১৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে।’’
মুম্বাই পুলিশের জ্যেষ্ঠ আরেক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর বিদেশি আইন ১৯৪৬-এর ধারা ৩ (২) (সি) অনুযায়ী ওই অভিবাসীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

্রিন্ট

আরও সংবদ