খুলনা | সোমবার | ১১ অগাস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

খুবিতে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সাংবাদিকতা শীর্ষক আলোচনা

সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে ফ্যাক্টচেক অত্যন্ত জরুরি : উপ-উপাচার্য

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০২:০৮ এ.এম | ১১ অগাস্ট ২০২৫


খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (খুবিসাস)-এর উদ্যোগে ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সাংবাদিকতা: ফ্যাক্টচেক, প্রতিষ্ঠান ও জনমানসের পুনর্গঠন’ শীর্ষক আলোচনা রোববার অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান।  
এ সময় তিনি বলেন, সাংবাদিকতা সৃজনশীল পেশা, যেখানে মেধা ও নতুনত্বের প্রয়োগ জরুরি। একটি প্রতিবেদনের কারণে একজনের সামাজিক অবস্থান ও মান-সম্মান ক্ষুণœ হতে পারে। তাই সংবাদ প্রকাশের আগে তথ্য যাচাই (ফ্যাক্টচেক) অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) যুগে অপতথ্য ও সম্মানহানির ঝুঁকি বেড়ে গেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, সময়ের সাথে সাংবাদিকতার ধরন বদলেছে। গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা অনেক ভুল তথ্য প্রচার হতে দেখেছি, আবার মুহূর্তে তা সরিয়েও নেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিকদের সংবাদ পাঠকের কাছে সত্য বলে ধরা হয়, তাই সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে তাদের আরও সতর্ক থাকা উচিত। 
সম্মানিত আলোচক হিসেবে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি ও প্রেক্ষাপট নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, এক সময় মানুষ সত্য জানার জন্য পত্রিকা পড়ত, এখন পত্রিকাকে সংবাদ প্রকাশের আগে ফ্যাক্টচেক করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে সংবাদ প্রকাশের পর আবার সরিয়ে নিতে হচ্ছে, যা সাংবাদিকতার জন্য উদ্বেগজনক। 
খুবিসাস সভাপতি আলকামা রমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন বাংলা ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ইমরান কামাল, দৈনিক সমকালের খুলনা ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার আবুল হাসান হিমালয়। স্বাগত বক্তৃতা করেন খুবিসাস সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম। বক্তারা গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী গণমাধ্যমের ভ‚মিকা, তথ্য যাচাই, প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন এবং জনমানসের পরিবর্তন বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন খুবিসাস-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া আক্তার। এতে খুলনার বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস রিপোর্টার ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ