খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৪ অগাস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২

আরাফাত রহমান কোকোর জন্মবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:১৯ এ.এম | ১২ অগাস্ট ২০২৫


শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর ৫৬তম জন্মদিন আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট)। ১৯৬৯ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি।   
ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন ১/১১ এর তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে জরুরি অবস্থার সময়ে করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে এক বছর কারাগারে ছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। সেখান থেকে পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়।
এরপর ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন আরাফাত রহমান কোকো। বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল হাসপাতালে নেওয়ার পথে এই বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ইন্তেকাল করেন। ওই বছরের ২৮ জানুয়ারি আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ দেশে আনা হয়।
ওই সময় বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন। সেখানেই ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ দেখে শেষ বিদায় জানান সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ওইদিনই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জানাজা নামাজ শেষে বনানী কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
এদিকে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে আজ ১২ আগস্ট মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় টায় পল্টন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, বিএনপি অফিসের নিচে আরাফাত রহমান কোকোর ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে খাবার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
আরাফাত রহমান কোকোর জন্ম ১৯৬৯ সালে ঢাকায়। তিনি ঢাকার বিএফ শাহীন কলেজে লেখাপড়া করেন। ১৯৬৯ সালে জিয়াউর রহমান সপরিবারে ঢাকায় চলে এলে কিছুদিন জয়দেবপুরে থাকার পর বাবার চাকুরির সুবাদে চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকায় বাস করেন।  
২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন কোকো। এ ছাড়া ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের চেয়ারম্যান ছিলেন।  
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে সেনা সমর্থিত তত্ত¡াবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে। ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার হন কোকো। ২০০৮ সালের ১৮ জুলাই চিকিৎসার জন্য সপরিবারে ব্যাংককে যান তিনি। চিকিৎসা শেষে মালয়েশিয়ায় চলে যান এবং সেখানেই সপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী শর্মিলা রহমান, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে রেখে যান।

্রিন্ট

আরও সংবদ