খুলনা | বুধবার | ১৩ অগাস্ট ২০২৫ | ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২

খুলনা থেকে ভারতে পাচার, উদ্ধারের পর রোমহর্ষক বর্ণনা কিশোরীর

খবর ডেস্ক |
০১:২৬ এ.এম | ১৩ অগাস্ট ২০২৫


খুলনা থেকে পাচার হওয়া এক বাংলাদেশি কিশোরীকে (১২) উদ্ধার করেছে ভারতের পুলিশ। তাকে উদ্ধার করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার নাইগাঁও থেকে। এ অভিযানে সংশ্লিষ্ট একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই কিশোরী গত তিন মাসে বহুবার ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
ভুক্তভোগীর বাড়ি খুলনার আমিরপুরে। উদ্ধার করার পরে ওই কিশোরী এখন একটি সেফ হোমে আছে। তার পরিবারের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করতে পারেননি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকর্তারা। 
ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে ‘হারমোনি ফাউন্ডেশন’ এর সভাপতি আব্রাহাম মাথাই জানিয়েছেন, স্কুলের একটি পরীক্ষায় ফেল করেছিল। মা-বাবার ভয়ে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এক পরিচিত নারী কিশোরীটিকে কাজ দেওয়ার কথা বলে কলকাতায় নিয়ে যায়। সেখানে জাল ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে উড়োজাহাজে করে পাঠানো হয় মুম্বাই।
আব্রাহাম মাথাই বলেন, ‘কিশোরীটি যখন বলছিল যে গত তিন মাসে ২২৩ জন পুরুষ তাকে ধর্ষণ করেছে, ওর চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম।’
ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে নিয়ে মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা। আরেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এক্সোডাস রোড ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন’ এবং পুলিশের মানবপাচার রোধ ইউনিট এক অভিযান চালিয়ে ২৩ জুলাই কিশোরীটিকে উদ্ধার করে।
পুলিশের কমিশনার নিকেত কৌশিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত নয়জনকে তারা গ্রেফতার করতে পেরেছেন। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও দুইজন নারী বাংলাদেশের নাগরিক। পুরো পাচার চক্রটিকে ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।
গত সপ্তাহে তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদ শহরে আরেক বাংলাদেশি কিশোরী স্থানীয় থানায় গিয়ে সাহায্য চায়। ঢাকার বাসিন্দা ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে তারই এক প্রতিবেশী ভারতে নিয়ে গিয়ে দেহ ব্যবসায় নামিয়েছিল বলে অভিযোগ করে। ওই কিশোরীর কাছে থেকে খবর পেয়ে হায়দরাবাদ পুলিশ তল­াশি চালিয়ে একটি আন্তর্জাতিক যৌন ব্যবসার চক্রের খোঁজ পায়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এক্সোডাস রোড ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন-এর প্রধান শ্যাম কুম্বলে বলেন, বাংলাদেশ থেকে বহু কিশোরী ও নারীকে পাচার করে মহারাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে শুধু তার সংগঠনই ৫০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নারী ও কিশোরীকে উদ্ধার করেছে।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ