খুলনা | শনিবার | ২৩ অগাস্ট ২০২৫ | ৭ ভাদ্র ১৪৩২

ডেঙ্গুর প্রকোপ ঊর্ধ্বমুখী : এডিসের উৎস নির্মূলে সমন্বিত পদক্ষেপ নিন

|
১১:৫৫ পি.এম | ১৩ অগাস্ট ২০২৫


ডেঙ্গু এখন আর মৌসুমি রোগ নয়, এটি সবার কাছে স্পষ্ট। এ রোগের ভয়াবহতার দিকটিও পরিস্কার। দুঃখজনক হলো, এসব তথ্য জানার পরও ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে কর্তৃপক্ষের জোরালো ভূমিকা একেবারেই দৃশ্যমান নয়। এদিকে দিন যত যাচ্ছে দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ও মৃত্যু ততই বাড়ছে। জানা যায়, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৭৩৫ জন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে হওয়া অন্য এক জরিপে দেখা যায়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার চেয়ে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থানে এডিস মশার ঘনত্ব বেশি। জরিপ হয়েছিল শীতের সময়। এবার দেশে বর্ষা মৌসুমের আগেই ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। এসব তথ্য জানার পর ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নিয়েছিল, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের খতিয়ে দেখা দরকার।
জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বছরজুড়ে বিস্তৃত হয়েছে, বিষয়টি বহুল আলোচিত। বস্তুত মশক নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় সারা দেশে এডিস মশার ঘনত্ব বেড়েছে। ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার আচরণে পরিবর্তন এসেছে। প্রতিক‚ল অবস্থায় নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় এ মশা তার আবাসনের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। সামান্য পরিমাণ জমা পানিতেও এডিস মশা ডিম পাড়ে এবং সেখানে লার্ভা জন্ম নেয়। এমন কিছু জায়গায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে, যেখানে বৃষ্টির পানির সম্পর্ক নেই। এসব বিষয়ও বহুল আলোচিত। ২০২৩ সালে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলার পরও ডেঙ্গু প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ কেন জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, তা বোধগম্য নয়।  
ডেঙ্গুর উপসর্গগুলোর সঙ্গে আমরা পরিচিত। তবে এ রোগের নতুন উপসর্গগুলো এখনো অনেকেরই অজানা। অনেক সময় রোগী ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো বুঝতে পারেন না, কোনো কোনো রোগী অবহেলা করেন। হাসপাতালে ভর্তি হতে দেরির কারণে রোগী গুরুতর অবস্থায় পৌঁছান। কাজেই জ্বর শুরু হওয়ামাত্রই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা পেতে বছরব্যাপী মশক নিধন ও অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। মশা নির্মূলে সবাইকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। যেভাবেই হোক, এডিস মশার উৎস পুরোপুরি নির্মূল করতে হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ