খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৪ অগাস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২

‘ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না’

কোনো ব্যক্তি বা দলের কথায় নির্বাচন বন্ধ হবে না : অর্থ উপদেষ্টা

খবর প্রতিবেদন |
০১:২২ এ.এম | ১৪ অগাস্ট ২০২৫


কোনো ব্যক্তি বা দলের কথায় নির্বাচন বন্ধ হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করার লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহায়তা করছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের লজিস্টিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বুধবার জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ‘ইউ পেনশন অ্যাপ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
কোনো ব্যক্তি বা দলের কেউ বললেই নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে। আগামী নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে অর্থ মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে। তবে এটা নির্ভর করবে রাজনীতিবিদদের ওপর।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্কিমে চাকুরিজীবী ও শিক্ষকসহ সব পেশার মানুষ অংশ নিচ্ছেন না। এটি কেন হচ্ছে এবং মানুষের অনীহা কোথায় সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। 
স্কিমে কোনো ভুল বা ত্র“টি থাকলে তা সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে প্রচারের উদ্যোগ বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘ইউ পেনশন’ মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমেই এখন থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বজনীন পেনশনের স্কিম দেওয়া যাবে। মোবাইল থেকে লগ-ইন, যাবতীয় তথ্য যাচাই করা এবং নোটিফিকেশন পাবেন গ্রাহকরা। অ্যাকাউন্টের নমিনি পরিবর্তন বা অন্যান্য সব কাজই অ্যাপসের মাধ্যমে করা সম্ভব।
সর্বজনীন পেনশন দেশের একটি রাষ্ট্রীয় অবসরভাতা ব্যবস্থা, যা দেশের সব নাগরিকের জন্য টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এই স্কিমের আওতায় চারটি আলাদা স্কিম 
রয়েছে। এগুলো হলো, প্রবাস স্কিম, প্রগতি স্কিম, সুরক্ষা স্কিম ও সমতা স্কিম।
ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে আদালতের স্টে অর্ডার। মহিউদ্দিন খান আলমগীর তো এই ঋণখেলাপি ইস্যু নিয়েই পাঁচ বছর পার করে দিয়েছিলেন।
আগামী নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার রোধে সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না-এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কালোটাকা নিয়ন্ত্রণে দু’টি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ-টাকার উৎস ও প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, টাকার উৎস আগের চেয়ে অনেকটাই বন্ধ হয়েছে। আগে ব্যাংকের মালিক, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক, সংবাদপত্রের মালিক, ফ্ল্যাটের মালিক-সব একই ব্যক্তি হতেন। এখন সেই অবস্থা নেই। মোটামুটি চেক এ্যান্ড ব্যালেন্স ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর। রাজনীতিবিদরা যদি টাকার বিনিময়ে নমিনেশন বা ভোট কেনার মতো কাজে উৎসাহ দেন, তাহলে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমরা কিছুই করতে পারব না।
উপদেষ্টা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করার লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহায়তা করছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের লজিস্টিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ