খুলনা | সোমবার | ১৮ অগাস্ট ২০২৫ | ৩ ভাদ্র ১৪৩২

জম্মু-কাশ্মিরে ‘মেঘ বিস্ফোরণে’ ১২ জনের মৃত্যু

খবর প্রতিবেদন |
০৫:৩০ পি.এম | ১৪ অগাস্ট ২০২৫


ভারতের জম্মু-কাশ্মিরে ‘মেঘ বিস্ফোরণে’ সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন হতাহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে জম্মু কাশ্মিরের কিশতোয়ার জেলার চাশোটি এলাকায় ভয়াবহ এ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বএখন পর্যন্ত ১২টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জম্মু কাশ্মিরে প্রতিবছর কিসওয়ারের মাতা চণ্ডী হিমালয় তীর্থস্থানের বার্ষিক যাত্রা হয়। এই তীর্থস্থানে যেতে চাশোটি হয়ে যেতে হয়। চাশোটি হলো তীর্থস্থানে যাত্রা শুরুর স্থান। অঞ্চলটি বেশ দুর্গম। তবে এই চাশোটি গ্রামের পর আর গাড়ি যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই।

এদিকে মেঘ বিস্ফোরণে আকস্মিক বন্যার কারণে এবারের বার্ষিক যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এক কর্মকর্তা।

জেলা প্রশাসক কিশতোয়ার পঙ্কজ শর্মা বলেছেন, ‘কিশতোয়ারের চাশোটি এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এনডিআরএফ ইতিমধ্যেই ১৮০ জন সদস্যকে আধুনিক সরঞ্জামাদি দিয়ে সজ্জিত করে উধমপুর ঘাঁটি থেকে দুর্ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে।’

জম্মু ও কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক এক্স বাতায় বলেছেন, ‘আমি এইমাত্র কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিতশাহের সঙ্গে কথা বলেছি এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে তাকে অবহিত করেছি। উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য জম্মু ও কাশ্মীরের ভেতর এবং বাইরে থেকে সম্ভাব্য সকল সম্পদ সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমি কোনও চ্যানেল বা সংবাদ সংস্থার সাথে কথা বলব না। শিগগিরই সরকারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।’

মেঘ বিস্ফোরণ কী?
কোনো ছোট এলাকায় (এক থেকে দশ কিলোমিটার বিস্তৃত) এক ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টিপাত হলে সেই ঘটনাকে ক্লাউডবার্স্ট বা মেঘ ভাঙা বলে চিহ্নিত করা হয়।

ক্লাউডবার্স্ট-এর কারণে অতি ভারী বৃষ্টি দেখা যায়। তবে এর সঙ্গে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পার্থক্য আছে। একটা ছোট্ট এলাকায় মেঘ হঠাৎ ঘনীভূত হওয়ার কারণে মেঘভাঙা বৃষ্টি দেখা দেয়। এর তীব্রতা এবং প্রভাব স্বাভাবিক অবস্থায় ভারী বা অতিভারী বৃষ্টির চাইতে অনেক বেশি, ক্ষতি করার শক্তিও বেশি। এই জাতীয় বৃষ্টির ফলে পার্বত্য অঞ্চলে প্রায়শই ফ্ল্যাশ ফ্লাড বা আকস্মিক বন্যা এবং ল্যান্ডস্লাইড বা ভূমিধস দেখা যায়। প্রাণনাশ এবং বড় আকারে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও থাকে।

সম্প্রতি ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের উত্তরকাশীতে মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং অকস্মাৎ বন্যার জেরে বহু প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে । তীব্র বেগে ধেয়ে আসা ক্ষীরগঙ্গা নদীর জল এবং সঙ্গে বয়ে আসা বড় পাথর আর কাদার স্রোতের প্রভাবে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে উত্তরকাশীর ধরালি গ্রামের বিস্তীর্ণ অংশ। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে হর্ষিল উপত্যকা সংলগ্ন অঞ্চলে।
সূত্র: এনডিটিভি

্রিন্ট

আরও সংবদ