খুলনা | সোমবার | ১৮ অগাস্ট ২০২৫ | ২ ভাদ্র ১৪৩২

নড়াইল পৌরসভায় সরকারি রাস্তার কাজে বাঁধা প্রদানের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নড়াইল প্রতিনিধি |
১১:৩৩ পি.এম | ১৬ অগাস্ট ২০২৫


নড়াইল পৌরসভার হাটবাড়িয়া জমিদার বাড়ি ডিসি পার্ক এলাকার সরকারি রাস্তার কাজে বাঁধা সৃষ্টি করা ও প্রতারণার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে। শনিবার বেলা ১১টা ডিসি পার্ক এলাকায় এলাকাবাসীর আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জমিদার বাড়ি মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনিল বিশ্বাস, স্থানীয় প্রতিনিধি কমল ঘোষ, বিল­াল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
বক্তারা বলেন, নড়াইল হাটবাড়িয়া জমিদার এলাকায় ডিসি পার্ক যাওয়ার রাস্তাটি সরকারি ম্যাপে ২৬ ফুট রাস্তা চওড়া। বর্তমানে রাস্তাটি ১২ ফুট থেকে ১৮ ফুটে বাড়ানো এবং ড্রেন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ায় স্থানীয় ভূমিদস্যু গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস ও শিখা রানি কুন্ডু’র পরিবার তাতে বাঁধা দেয়। পরে ভূমিদস্যু গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে তাদের ওপর হামলার মিথ্যা অভিযোগ করে ফেসবুকে লাইভ করে এলাকার সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা করে। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ভুক্তভোগী হাটবাড়িয়া এলাকায় বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস অভিযোগ করেন রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজে আমাদের কিছু জায়গা ওই সড়কের মধ্যে চলে গেছে। জনকল্যাণে সেটা মেনে নিয়েছি। কিন্তু শুক্রবার সকালে বিএনপি নেতা দেলোয়ারের নেতৃত্বে স্থানীয়রা কিছু লোকজন আমাদের জমির বেড়া ভাঙচুর করে। এর ভিডিও করতে গেলে স্থানীয়রা আমার ছেলের উপর হামলা চালায়।
নড়াইল পৌর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন বলেন, হাটবাড়িয়া ডিসি পার্কের রাস্তা ম্যাপে ২৬ ফুট জায়গা থাকলেও স্থানীয় গোপাল বিশ্বাস সরকারি জায়গা দখল করে রেখেছে। এ বিষয়টি ফয়সালা করার জন্য শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এনডিসি আমাদের স্থানীয় মানুষদের ডিসি পার্কে ডাকেন। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে আমরা ওই শিক্ষকের বাড়ির সামনে দিয়ে ডিসি পার্কে যাচ্ছিলাম। এ সময় ওই শিক্ষকের ছেলে ফেসবুকে লাইভ করে অহেতুক তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে-এমন কথা বলতে থাকে। আমরা এতে বাঁধা প্রদান করি। 
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত শাখা) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, জনস্বার্থে পার্কে ঢোকার রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণের জন্য আমরা ওই শিক্ষককে একটু জমি ছাড়তে বলেছিলাম, কিন্তু তিনি রাজি হননি। শুক্রবার আমরা রাস্তাটি জায়গাটি মাপজোক করতে গিয়েছিলাম। এসময় এলাকাবাসীও সেখানে আসে। তাঁরা জানায়, ‘রাস্তার পাশে আরো সরকারি জায়গা আছে।’ পরে আমরা মাপার কাজ শুরু করলে ওই শিক্ষকের ছেলে এসে লাইভ অথবা ভিডিও করেত শুরু করেন। এতে গ্রামবাসী বাঁধা দেন। একপর্যায়ে রাস্তার ওপর দু’পক্ষ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটনা ঘটে। যেহেতু আমারা রাস্তার মাপের জন্য গিয়েছিলাম, আমাদের সঙ্গে কোনো ফোর্স ছিল না। আমি বারবার দু’পক্ষকেই শান্ত করার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, ওই শিক্ষক পরিবার নিষেধ করায় ওই জমিতে একটা খুঁটিও পোতা হয়নি। পরিবেশ উত্তপ্ত হওয়ায় পুলিশে খবর দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। আর বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় রাস্তার জায়গা মাপার কাজও অসমাপ্ত করে চলে আসতে হয়।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাজেদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ