আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০০৮ সালের পূর্বের সীমানা বহাল রেখে আশাশুনি উপজেলাকে স্বতন্ত্র সংসদীয় আসন করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। শনিবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা- আশাশুনি সড়কের বুধহাটা বাজারে এ মানববন্ধ কর্মসূচি পালিত হয়।
আশাশুনি প্রেসক্লাবে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জিএম মুজিবুর রহমানের সভাপেিত্ব এবং বুধহাটা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান ইকবাল মামুন এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনেয় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি আব্দুস সোবান, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের স্টাফ রিপোর্ঁার কল্যাণ ব্যানার্জি, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির নুরুল আবসার মুরতাজা, জেলা জজকোর্টের এপিপি শহিদুল ইসলাম, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস কে হাসান, বুধহাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, জামায়াত নেতা আবুল কালাম, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম বকুল, সাংবাদিক ইয়াসিন আরাফাত, বাবুল হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আশাশুনি ও শ্যামনগর দু’টি উপজেলা ভৌগলিকভাবে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন উপজেলা। আশাশুনি চারটি এবং শ্যামনগর তিনটি দ্বীপে বিভক্ত। এই দু’টি উপজেলার মধ্যে সরাসরি কোন সড়ক যোগাযোগ নেই। আশাশুনি থেকে শ্যামনগরে যাতায়াত করতে হলে কালীগঞ্জ হয়ে ঘুওে যেতে হবে অন্যথায় নদী পার হয়ে যেতে হতে হবে। কিন্তু নদীর ওপর কোনো সেতু নেই। ফলে এ দু’টি উপজেলা নিয়ে একই আসন গঠন জনস্বার্থবিরোধী ও অযৌক্তিক।
তারা আরও বলেন, বিগত ২০০৮ সালের আগে সাতক্ষীরায় পাঁচটি সংসদীয় আসন ছিল, যার মধ্যে আশাশুনি ছিল একটি স্বতন্ত্র আসন। কিন্তু পরবর্তীতে রাজনৈতিক স্বার্থে একটি আসন কেটে অন্যত্র যুক্ত করা হয়েছে। বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জনগণের দাবি অগ্রাহ্য হলে আশাশুনির ভোটাররা ভোট বর্জন করতে বাধ্য হবেন। মানববন্ধন থেকে ভৌগলিক বাস্তবতা ও জনকল্যাণের স্বার্থে আশাশুনি উপজেলাকে পুনরায় স্বতন্ত্র একটি সংসদীয় আসন ঘোষণা করার জোর দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে আশাশুনি উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন।