খুলনা | মঙ্গলবার | ১৯ অগাস্ট ২০২৫ | ৪ ভাদ্র ১৪৩২

আলটিমেটাম দিয়ে সচিবালয় এলাকা ছাড়লেন জুলাই শহীদদের স্বজনরা

খবর প্রতিবেদন |
০৫:৩৪ পি.এম | ১৯ অগাস্ট ২০২৫


আলটিমেটাম দিয়ে সচিবালয়ের সামনের সড়ক ছেড়েছেন ‘জুলাই হত্যাকাণ্ড’-এর বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামা শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতরা।

এর আগে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। পরে বিকাল সোয়া ৩টার দিকে তারা ‘আলটিমেটাম’ দিয়ে সড়ক ছেড়ে দেন।

সড়ক ছেড়ে দেওয়ার সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় আসামিরা কীভাবে জামিন পাচ্ছেন, সেই ব্যাখ্যা আগামী রবিবারের মধ্যে আইন উপদেষ্টাকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে দিতে হবে। সেই ব্যাখ্যা জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে।

তারা আরও দাবি করেন, আজকের কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছ থেকে ‘দৃশ্যমান বিচার’ চান তারা।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন, অর্থের বিনিময়ে জুলাই গণহত্যার আসামিরা জামিন পাচ্ছেন এবং আইন উপদেষ্টা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এ কারণে তারা তার পদত্যাগ দাবি করেন। একইসঙ্গে, জামিন দেওয়া বিচারকদেরও অপসারণের দাবি তোলেন তারা।

এর আগে সকাল ১১টার দিকে একই দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেও বিক্ষোভ করেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে তারা সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হন। পুলিশের বাধার মুখে সচিবালয়ের সামনেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যান তারা।

আইন উপদেষ্টার ব্যাখ্যা
এদিকে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্ট দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডে শহীদ পরিবারের দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে পুলিশ সদস্যের জামিনের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের কোন সম্পর্ক নেই।

আসিফ নজরুল লিখেন, ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডে শহীদ পরিবারের করা একটি মামলায় হাইকোর্ট পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্যকে জামিন দিয়েছে। এটি নিয়ে শহীদ পরিবারের সদস্যরা স্বাভাবিক কারণেই ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। তবে এই জামিনের সঙ্গে আইন মন্ত্রনালয়ের কোন সম্পর্ক নেই।’

তিনি লিখেন, ‘হাইকোর্ট দেশের উচ্চ আদালত। হাইকোর্ট বা উচ্চ আদালত আইন মন্ত্রনালয়ের এখতিয়ারের অধীনে নয়। জামিন বা হাইকোর্টের অন্য কোন সিদ্ধান্তের সাথে তাই আইন মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।’

উপদেষ্টা লিখেন, ‘হাইকোর্ট উচ্চ আদালত হলেও তার সিদ্ধান্ত প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। অ্যাটনি জেনারেলের অফিস থেকে উপরোক্ত জামিনাদেশের বিরুদ্ধে তাই আপিল করা হয়েছে। কালই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। জামিন বাতিল হলে পুলিশ উপরোক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করবে।’

্রিন্ট

আরও সংবদ