খুলনা | রবিবার | ২৪ অগাস্ট ২০২৫ | ৯ ভাদ্র ১৪৩২

রিমান্ডের পর হাসপাতালে শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট

খবর প্রতিবেদন |
১২:৫৯ এ.এম | ২৪ অগাস্ট ২০২৫


রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তাকে কারাগারের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাষ্ট্রীয় তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগে রিমান্ডে নেওয়া শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) তাকে কারাগারের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে শুক্রবার তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এদিন তাকে গ্রেফতার করে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের (৭৬) বিরুদ্ধে সরকারি অর্থের ১ কোটি ৬৬ লাখ শ্রীলঙ্কান রুপি অপচয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে কলম্বো ফোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২৬ আগস্ট পর্যন্ত রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর তাকে রাজধানীর প্রধান ম্যাগাজিন রিমান্ড কারাগারে নেওয়া হয়। তবে রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শনিবারই তাকে কারাগারের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কারা বিভাগের মুখপাত্র জগৎ বীরাসিংহে।

মামলায় রনিল বিক্রমাসিংহেকে দণ্ডবিধির ৩৮৬ ও ৩৮৮ ধারা এবং সরকারি সম্পত্তি আইনের ৫(১) ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। এসব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে ন্যূনতম এক বছর থেকে সর্বোচ্চ ২০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা শুনানির পর ম্যাজিস্ট্রেট নিলুপুলি লঙ্কাপুরা বলেন, প্রতিপক্ষ আদালতে জামিনের উপযুক্ত কোনো কারণ উপস্থাপন করতে পারেনি।

এরপর সাবেক প্রেসিডেন্টকে দেখতে যান তার সহযোগী ও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা। সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি স্বাভাবিক ছিলেন এবং ভালো মানসিক অবস্থায় আছেন। তিনি জানেন, রাজনীতিতে এমন ঘটনাই ঘটে।

অন্যদিকে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমদাসা বলেন, আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি ভালো আছেন।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, বিক্রমাসিংহের অনুরোধে তাকে বাসা থেকে রান্না করা খাবার আনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কায় গণ-অভ্যুত্থানের পর গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও তাঁর স্ত্রী নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে বিক্রমাসিংহে শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন।

পরে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেও ২০২৪ সালের সেপ্টেমবরে পদত্যাগ করেন। ২০২২ সালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট থেকে শ্রীলঙ্কাকে উত্তরণের কৃতিত্ব তারই বলে মনে করা হয়। তবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে স্ত্রী প্রফেসর মাইথ্রীর যুক্তরাজ্যের এক ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সরকারি অর্থে ভ্রমণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।

্রিন্ট

আরও সংবদ