খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৮ অগাস্ট ২০২৫ | ১২ ভাদ্র ১৪৩২

প্রস্তাবনার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে শুনানি আজ : বহাল না হলে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা

বাগেরহাটে দিনভর হরতাল-অবরোধ শেষে যান চলাচল স্বাভাবিক : প্রভাব পড়েছে মোংলা বন্দরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট |
০১:৩৫ এ.এম | ২৫ অগাস্ট ২০২৫


বাগেরহাটে বিলুপ্ত ঘোষণার প্রস্তাব করা চার আসন পুনর্বহালের দাবিতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলা জুড়ে সর্বাত্মক হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রোববার বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা।
এ সময় বাগেরহাট জেলা জামায়েতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মোঃ রেজাউল করিম, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এম এ সালামসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করার পর বাগেরহাটের সকল সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। স্বস্তিতে নিজ নিজ গন্তব্যে যাওয়া শুরু করেন বিভিন্ন পেশাজীবিরা।
বাগেরহাট জেলা জামায়েতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মোঃ রেজাউল করিম বলেন, আজকের মত আমরা অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি। সোমবার নির্বাচন কমিশনে জেলায় চারটি আসন থাকার বিষয়ে শুনানি হবে। শুনানিতে নির্বাচন কমিশন জেলায় ৩টি আসনের প্রস্তাব থেকে ফিরে না আসে, তাহলে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হবে। সকল নেতা-কর্মীকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহŸান করেছেন এই নেতা।
জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি বাগেরহাট-৪ আসন বহাল না রাখে তাহলে, বাগেরহাট জেলায় কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে সারাদেশের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন বিএনপি’র এই নেতা।
অবরোধের সকাল থেকে বিকেল-পূর্ব নির্ধারিত সময় রোববার সকাল ৮টায় বাগেরহাটের বিভিন্ন সড়কে গাছ ফেলে এবং যানবাহন দাঁড় করিয়ে অবরোধ শুরু করেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা। খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের  কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা জজ কোর্টের সামনে, খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের নওয়াপাড়া মোড়, খুলনা মোংলা মহাসড়কের কাটাখালি জিরোপয়েন্ট, বাগেরহাট মাওয়া মহাসড়কের মোল¬াহাট সেতু, খুলনা-মোংলা মহাসড়কের একাধিক যায়গায়,বাগেরহাট পিরোজপুর মহাসড়কের সাইনবোর্ড বাজার জিরো পয়েন্ট, জেলার অন্তত অর্ধশতাধিক স্থানে স্থানে সড়ক-মহাসড়কে গাছের গুড়ি, টায়ারে আগুন ও বেঞ্চ রেখে অবরোধ করছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা। এতে বাগেরহাট জেলার উপর দিয়ে চলাচল করা ৫টি মহাসড়ক ও ৯টি উপজেলা সড়কসহ সকল স্থানের যোগাযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। জেলার সকল দূরপাল¬া ও আত্মঃজেলা ও বিভাগীয় সড়ক পথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই জেলার উপর দিয়ে পিরোজপুর-বাগেরহাট ঢাকা, বরিশাল বাগেরহাট খুলনা, বরিশাল বাগেরহাট-বেনাপোল, খুলনা-বাগেরহাট ঢাকা, সাতক্ষীরা, খুলনা-বাগেরহাট, বরিশাল বাগেরহাট রংপুরসহ ১৬টি রুটে  ৩৪ জেলার সাথে যাত্রীবাহী বাস চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ছিল।
যান চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে কর্মমুখী মানুষ ও দেশের নানা প্রান্ত থেকে নানা প্রয়োজনে যাতায়াতকারি যাত্রীরা। অনার্স পরীক্ষার্থী ও রোগী ও তাদের স্বজনেরা নানা ভোগান্তিতে পড়েছে। চাকুরিজীবীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরাও পড়ে ছিলেন বিপাকে।
দু-একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের মোড় এলাকায় একজন শিক্ষার্থী বহনকারী একটি ভ্যান চালককে মারধর করে হরতালের পক্ষে অবস্থানকারীরা। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয় বিয়য়টির। এছাড়াও বেশকিছু এলাকায় সড়ক অচল করতে অবস্থানকারীদের বিরুদ্ধে পথচারীদের সাথে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া দশানী ট্রাফিক মোড়সহ বিভিন্ন ফাঁকা সড়কে কিশোর ও যুবকদের ক্রিকেট খেলতে দেখা গেছে।
দিনভর অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে সাবেক সিনিয়র সচিব মশিউর রহমান, সাবেক সিনিয়র সচিব ড. ফরিদুল ইসলাম,  বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মুজিবর রহমান, বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক খাদেম নিয়ামুন নাসির আলাপ, বিএনপি নেতা খান মনিরুল ইসলাম, সরদার জাহিদ, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এড. শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, জামায়াতের জেলা সেক্রেটারী শেখ মোহাম্মদ ইউনুস, জেলা জামায়াতের যুব বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুরুল হক রাহাত, জেলা জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফকির তারিকুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল¬াসহ কয়েক হাজার নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেয়। নেতা-কর্মীদের সাথে স্থানীয় বাসিন্দারাও এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।
মোংলা প্রতিনিধি জানান, ভোর ৫টা থেকে শুরু হওয়া এ অবরোধ কর্মসূচি একটানা চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। অবরোধের কারণে খুলনা-মোংলা মহাসড়কে ও নৌপথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল। যার ফলে ইপিজেড, শিল্পকারখানা ও মোংলা বন্দর থেকে মালামাল পরিবহন করতে পারেনি আমদানি ও রপ্তানিকারকরা। বন্ধ ছিল ইপিজেড, শিল্পকলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, খেয়া ও ফেরী পারাপার। মোংলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নির্দেশে এ সকল কর্মসূচি পালন করা হয়। তবে বন্দরের হারবাড়িয়া ও বহিঃনোঙরে অবস্থারত বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে খালাস-বোঝাই কাজ চলে স্বাভাবিক গতিতে। অবরোধের ফলে ভোর থেকেই মোংলা থেকে দূরপাল­ার কোন গাড়ি ছেড়ে যায়নি। 
পৌর বিএনপি’র সভাপতি ও মোংলা বন্দর ইস্টিভিডরস এসোসিয়েশনের সাধাররণ সম্পাদক মোঃ জুলফিকার আলী বলেন, অবরোধ সফল করতে ভোর থেকেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল মোংলা নদীর খেয়া পারাপার ও ফেরি চলাচল। যার ফলে গার্মেন্টস কর্মীরা তাদের ফ্যাক্টরীতে যেতে না পেরে এমনিতেই বন্ধ হয়ে গেছে ইপিজেড’র সকল কারখানা। আর সড়ক পথে সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। যার সাথে বন্ধ রয়েছে বন্দরে এলাকার সকল শিল্পকলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। শুধুমাত্র জরুরি সেবা চালু রয়েছে। 
জামায়াতে ইসলামী বাগেরহাট জেলা নায়েবে আমীর এড. মাওলানা শেখ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন ইসির এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের আমরা আপত্তি জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ এ ইস্যুতে সোমবার ইসি কার্যালয়ের সামনে বাগেরহাটবাসীর অবস্থান কর্মসূচি রয়েছে। আশা করছি ইসি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে আমাদের যৌক্তিক দাবী ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন। 
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, ইসি রাতের অন্ধকারে বাগেরহাটবাসীর মতামত ছাড়া আসন বিলুপ্তি ও বিভাজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা কোনভাবে মেনে নিবেন না বাগেরহাটবাসী। আমরা মোংলা-রামপাল সংসদীয় আসন-৩ সহ বাগেরহাটের ৪টি আসনই পুনবহালের দাবীতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছি। ইসি যদি তার এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে তাহলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। 
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মাকরুজ্জামান বলেন, ‘বন্দরের চ্যানেলে বর্তমানে আটটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ রয়েছে। বন্দরের বহিঃনোঙরে যেসব জাহাজ রয়েছে, সেগুলোতে পণ্য বোঝাই-খালাস চলছে। তবে অবরোধের কারণে পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। আমাদের বন্দরের অফিসের কার্যক্রম চলছে।
রামপাল প্রতিনিধি জানান, অবরোধের সমর্থনে সকাল থেকে উপজেলার খুলনা-মোংলা মহাসড়কে ও নৌপথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে গোটা উপজেলা। অবরোধ সফল করতে ভোর থেকেই রাস্তায় নেমে এসেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ। অবরোধ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মোস্তফা কামাল পাটোয়ারী, যুগ্ম-আহবায়ক শেখ ফিরোজ কবির, সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলাম, যুবদল, কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা রেজাউল করিম, নায়েবে আমীর এড. শেখ আঃ ওয়াদুদসহ জামায়াতের যুব বিভাগ, ছাত্র শিবির ও এনসিপি আল আমিন ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতৃবৃন্দ। 
ফকিরহাট প্রতিনিধি জানান, সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ও সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়। ভোরে কিছু গাড়ি রাস্তায় দেখা গেলেও পরে সড়ক মহাসড়ক ফাঁকা হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও ছিল তৎপর। উপজেলার কাটাখালী মোড়, ফকিরহাট বিশ^রোড মোড়, ফলতিতা-বটতলাসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে সড়ক মহাসড়কে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী ও সাধারণ মানুষ সড়কে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করছেন। রাস্তায় টায়ার জ¦ালিয়ে প্রতিবাদ করছে। তবে জরুরি সেবা ও এ্যাম্বুলেন্স চলাচল করার সুযোগ করে দিচ্ছেন রাস্তায় থাকা লোকজন।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শির্ক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। এদিনের অভ্যন্তরীন পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। বন্ধ ছিল সকল দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে জরুরি প্রয়োজনে কিছু ফার্মেসী খোলা ছিল।
হরতাল সমর্থনে সড়কগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী। 
ফকিরহাট উপজেলায় হরতাল ও অবরোধের নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি শেখ কামরুল ইসলাম গোরা, সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুল কামাল কারিম, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর এবিএম তৈয়াবুর রহমান, সেক্রেটারী আবুল আলা মাসুমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।  
হরতাল ও অবরোধ সম্পর্কে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার  (সার্কেল) মোঃ রবিউল ইসলাম শামীম বলেন, “আমাদের কয়েকটি টহল টিম ফকিরহাট ও মোল­াহাট উপজেলার বিভিন্ন সড়কে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক আছে।”
মোল­াহাট প্রতিনিধি জানান, সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে হাজারো মানুষ উপজেলা সদর ও আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জড়ো হন। পরে তারা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মোল­াহাট সেতুর মুখে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে অবরোধ কার্যক্রম পালন করেন। অবরোধ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও সিনিয়র সচিব ডাঃ মোঃ ফরিদুল ইসলাম, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এড. শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু।
মোল­াহাট উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সর্বদলীয় কমিটির আহŸায়ক শেখ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন আল রশীদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন-বিএনপি’র সাবেক সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহমেদ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহŸায়ক সিকদার জামাল উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সাহেদ আলী, উপজেলা জামায়াতের আমীর হাসমত আলী, নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর, সাবেক সেক্রেটারি এস এম নাসির উদ্দিন, খেলাফত আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মুফতি হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা মুফতি আঃ হান্নান এবং প্রেসক্লাব মোল­াহাটের সাধারণ সম্পাদক এম এম মফিজুর রহমানসহ বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী দল ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
চিতলমারী প্রতিনিধি জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা সকালে ঢাকা-মাওয়া-পিরোজপুর ও বাগেরহাট-চিতলমারী সড়কের মচন্দপুর মোড়ে গাছের গুড়ি ফেলে এবং টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন। কর্মসূচিতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। হরতাল চলাকালীন রাস্তায় কোন প্রকার যান চলাচল করেনি।  জরুরি পরিসেবার বাইরে সকল দোকানপাট বন্ধ ছিল।
সকাল ১০ টায় কুনিয়া বাস্ট্যান্ড মোড়ে পথ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মমিনুল হক টুলু বিশ^াস, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হাসান অপু, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মুনিরুজ্জামান, সেক্রেটারী জাহিদুজ্জামান নান্না, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব ঠান্ডু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চিতলমারী উপজেলা শাখার সভাপতি ডাক্তার কাজী আবুল কালাম, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জাকারিয়া মিলন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ নেয়ামত আলী খান প্রমুখ।

্রিন্ট

আরও সংবদ