খুলনা | বুধবার | ২৭ অগাস্ট ২০২৫ | ১২ ভাদ্র ১৪৩২

নতুন আইনে ফেঁসে গেল ড্রিম ১১, স্পন্সর হারালো বিসিসিআই

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০৪:৫৭ পি.এম | ২৫ অগাস্ট ২০২৫


ভারতের জনপ্রিয় ফ্যান্টাসি গেমিং কোম্পানি ‘ড্রিম১১’ আনুষ্ঠানিকভাবে আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) তাদের স্পনসরশিপ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। সরকারের নতুন আইনে অর্থভিত্তিক অনলাইন গেমিং নিষিদ্ধ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের টাইটেল স্পনসরশিপ এখন শূন্য। আর নতুন স্পনসর খুঁজে বের করতে হিমশিম খাচ্ছে বিসিসিআই (ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড)। তবে চলতি এশিয়া কাপ শুরুর আগেই নতুন কোনো স্পনসর নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

রবিবার পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিসিসিআইয়ের সচিব দেবজিত সাইকিয়া নিশ্চিত করেছেন, ড্রিম১১ আর ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে যুক্ত থাকছে না। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি নীতিমালার কারণে ড্রিম১১ কিংবা অন্য কোনো অনুরূপ গেমিং কোম্পানির সঙ্গে বোর্ড আর এগোতে পারবে না। বাধ্য হয়েই আমাদের বিকল্প স্পনসর খুঁজতে হচ্ছে। তবে এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।’’

নতুন আইন অনুযায়ী, কেউ অনলাইন টাকা দিয়ে গেম খেলতে উৎসাহিত করতে পারবে না। এমনকি কোনো বিজ্ঞাপনও দেওয়া যাবে না। আইন ভঙ্গ করলে এক কোটি রুপি পর্যন্ত জরিমানা কিংবা তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের শাস্তি হতে পারে।

ড্রিম১১ গত বছর তিন বছরের জন্য ভারতীয় জাতীয় দলগুলোর (পুরুষ, নারী, অনূর্ধ্ব–১৯ ও অনূর্ধ্ব–২৩) টাইটেল স্পন্সর হয়েছিল ৩৫৮ কোটি রুপিতে (প্রায় ৪৪ মিলিয়ন ডলার)। এখনো চুক্তির এক বছর বাকি থাকলেও তারা কোনো জরিমানা ছাড়াই সরে দাঁড়াচ্ছে।

বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘‘এটা ড্রিম১১-এর দোষ নয়। সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই কোনো ধরনের জরিমানা ধার্য করা হচ্ছে না। তবে স্বল্পমেয়াদে আমাদেরও আয়ের ওপর প্রভাব পড়বে। নতুন পরিকল্পনা নিতে হবে।’’

তিনি আরও জানান, ভারতের এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচ শুরু হতে মাত্র ১৫ দিন বাকি, এই স্বল্পসময়ে নতুন স্পনসর খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন হবে। কারণ, প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিড আহ্বান, যাচাই–বাছাই এবং শেষে বিজয়ী ঘোষণা করতে সময় লাগে।

ড্রিম১১ সরে দাঁড়ানোর প্রভাব পড়তে পারে আইপিএলেও। অন্য ফ্যান্টাসি কোম্পানি ‘মাই১১সার্কেল’, যারা পাঁচ বছরের জন্য ৬২৫ কোটি রুপির চুক্তি করেছে, তারাও বড় ধরনের ধাক্কায় পড়তে পারে। যদিও বিসিসিআই মনে করছে, আইপিএলের জন্য এখনো যথেষ্ট সময় আছে, প্রয়োজনে নতুন করে প্রক্রিয়া চালু করা যাবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ