খুলনা | বুধবার | ২৭ অগাস্ট ২০২৫ | ১২ ভাদ্র ১৪৩২

স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত অস্ট্রেলিয়ার সফল অধিনায়ক, দিলেন সতর্কবার্তা

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০৩:৩৮ পি.এম | ২৭ অগাস্ট ২০২৫


অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের সোনালী সময়ের অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। তার অধীনে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতে অজিরা। এছাড়া তার সময়ে লাল বলের ক্রিকেটেও তুমুল আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন দল। সাবেক এই অধিনায়কই আবারও স্কিন ক্যানসার অপসারণের অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। নাকের উপরের অংশে ক্যানসার ধরা পড়ায় সম্প্রতি সেটি কেটে ফেলা হয়। সার্জারির পর নিজের ছবি শেয়ার করে সতর্কবার্তা দিয়েছেন এই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।

ক্লার্ক প্রথমবার এ সমস্যায় পড়েন ২০০৬ সালে, অস্ট্রেলিয়া দলে অভিষেকের মাত্র দুই বছর পর। এরপর একাধিকবার তাঁর শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে এবং অপসারণ করা হয়।

এবার ফের স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর নিরাময়ে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, “অস্ট্রেলিয়ায় স্কিন ক্যানসার খুবই সাধারণ বিষয়। আজ নাক থেকে এটি কেটে ফেলতে হলো। সবাইকে মনে করিয়ে দিচ্ছি, নিয়মিত চেকআপ করুন। প্রতিরোধই আসল সুরক্ষা, আর আমার ক্ষেত্রে আগেভাগে শনাক্ত হওয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি স্কিন ক্যানসারের ঘটনা ঘটে অস্ট্রেলিয়ায়। প্রবল সূর্যের তাপ, নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অবস্থান এবং ফর্সা ত্বকের আধিক্য এর প্রধান কারণ। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি ৩ জনের মধ্যে অন্তত ২ জন অস্ট্রেলিয়ান ৭০ বছর বয়সের আগে স্কিন ক্যানসারে আক্রান্ত হন।

২০২৩ সালে ডেইলি টেলিগ্রাফ-কে ক্লার্ক বলেছিলেন, “এটা আমাকে ভয় পাইয়ে দেয়। আমি একজন বাবা, আমার মেয়েটার বয়স মাত্র সাত। আমি চাই না কোথাও চলে যাই, বরং ওর পাশে থেকে ভালো উদাহরণ হয়ে উঠতে চাই।” তিনি আরও বলেন, “ভাবুন তো, ভারতে দিনের পর দিন ফিল্ডিং করতে হচ্ছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদে থাকতে হচ্ছে। অনেক সময় কেবল টুপি পরে খেলি, কানে বা মুখে সুরক্ষা থাকে না। ছোট হাতার জার্সি পরে খেলায় হাত আর বাহুর ওপরও প্রভাব পড়ে।”

শারীরিক সমস্যার মধ্যেও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে ক্লার্কের অবস্থান অমলিন। আক্রমণাত্মক মানসিকতা, স্থিতিশীলতা এবং সতীর্থদের অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা তাঁকে নিয়ে গেছে ব্যাগি গ্রিনের সেরাদের কাতারে। ২০০৪ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছেন ১১৫ টেস্ট, ২৪৫ ওয়ানডে ও ৩৪ টি-টোয়েন্টি। টেস্টে ৮,৬৪৩ ও ওয়ানডেতে ৭,৯৮১ রান করেন, নিয়েছেন ৯৪ উইকেট। এলিগ্যান্ট ব্যাটিং স্টাইল আর জেতার তীব্র মানসিকতায় তিনি হয়ে উঠেছিলেন প্রজন্মের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার।

অধিনায়ক হিসেবে ৭৪ টেস্ট ও ১৩৯ ওয়ানডে পরিচালনা করেছেন ক্লার্ক। তাঁর নেতৃত্বেই এসেছিল স্মরণীয় ২০১৩-১৪ অ্যাশেজে ৫-০ জয়ের কীর্তি এবং ২০১৫ বিশ্বকাপ ট্রফি। বিশেষ করে ২০১৩ সাল ছিল ক্যারিয়ারের সেরা সময়। ওই বছর তিনি আইসিসি বর্ষসেরা ক্রিকেটার ও বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের স্বীকৃতি পান।

্রিন্ট

আরও সংবদ