খুলনা | মঙ্গলবার | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩২

মহানবী (সাঃ)-এর জন্ম ও ওফাত

|
১২:৪৫ এ.এম | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫


আজ ১২ রবিউল আউয়াল। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুনিয়াতে শুভাগমনের দিন। নবীর মোবারক দায়িত্ব বা রিসালাতের মহামিশনের সফলতা সম্পন্ন করেন তিনি। ইসলামী সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠার সূচনা যে হিজরত, তাও সংঘটিত হয় এ মাসেই। আবার এ মাসেরই ১২ তারিখে আখেরি নবীর তিরোধান বা ওফাত হয়।
কালক্রমে দিনটি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সিরাতুন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। যার অর্থ হলো প্রিয় নবী (সাঃ)-এর জন্মানুষ্ঠান এবং তার পথে চলার সংকল্প গ্রহণ। ধীরে ধীরে এর সঙ্গে ‘ঈদ’ শব্দ যোগ হয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রূপ লাভ করে। যার অর্থ হলো মহানবী (সাঃ)-এর জন্মোৎসব। এ পর্যায়ে আরেকটি পরিভাষাও প্রচলিত হতে থাকে সিরাতুন নবী (সাঃ) অর্থাৎ নবী (সাঃ)-এর জীবন চরিত বা জীবনী আলোচনা অনুষ্ঠান।
মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর পরিচয় প্রকাশ করা। নবী-রাসূল প্রেরণের লক্ষ্য হলো মানুষকে আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। তাই আল্লাহকে পেতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর আদর্শ অনুসরণ করতেই হবে। অর্থাৎ রাসূলে আকরাম (সাঃ) যা করেছেন বা করতে বলেছেন, তা করতে হবে। আর যা করেননি বা করতে বারণ করেছেন, তা বর্জন করতে হবে। আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের উদ্দেশ্যে কোরআনের নির্দেশনায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ করাই ইসলামের মূল শিক্ষা। এজন্য কোরআনের সুরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ৩১-এ স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, ‘বলুন (হে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসবে, তবে আমার অনুকরণ করো; আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন।’
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রতি দরূদ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। কোরআনে এসেছে, ‘অবশ্যই আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা নবীর প্রতি দরূদ প্রেরণ করেন। হে মুমিনরা! তোমরাও তার প্রতি যথাযথ দরূদ ও সালাম পেশ করো।’ (সুরা: আহজাব, আয়াত: ৫৬)। এমনকি ‘আসমান জমিনের মাঝে দোয়া ঝুলন্ত থাকে। তুমি তোমার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরূদ পেশ করা পর্যন্ত তা ওপরে ওঠে না।’ (জামে তিরমিজি, হাদিস ৪৮৬)
নবী মুহাম্মদ মুস্তাফা আহমদ মুজতাবা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন শেষ নবী, সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, বিশ্বমানবতার জন্য রহমতস্বরূপ। তার প্রতি লক্ষ-কোটি দরূদ ও সালাম:
‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া’আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহিমা ওয়া’আলা আলি ইব্রাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।
আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া’আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইব্রাহিমা ওয়া’আলা আলি ইব্রাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।’ (বোখারি, মিশকাত পৃঃ ৮৬, হা/৯১৯)
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ ও তার বংশধরদের ওপর রহমত বর্ষণ করুন, যেভাবে আপনি ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর রহমত বর্ষণ করেছিলেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত সম্মানিত।  
হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ ও তার বংশধরদের ওপর বরকত নাজিল করুন, যেভাবে ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর বরকত নাজিল করেছিলেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত সম্মানিত।’

্রিন্ট

আরও সংবদ