খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২৬ ভাদ্র ১৪৩২

সতর্ক হতে বললেন শিবসেনা এমপি

ভারতের অবস্থাও ভালো না, নেপালের মতো পরিস্থিতি হতে পারে

খবর প্রতিবেদন |
০৫:২৮ পি.এম | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫


ব্যাপক দুর্নীতি ও সরকারি অর্থ লুটপাট, সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে নেপালে অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে সাধারণ জনতা। এতে করে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিসহ অন্যান্য রাজনীতিবিদরা।

ভারতেও একইরকম পরিস্থিতি হতে পারে বলে সতর্কতা দিয়েছেন শিবসেনার এমপি সঞ্জয় রউত। তিনি এখনই রাজনীতিবিদদের সতর্ক হতে অনুরোধ করেছেন। এছাড়া নরেন্দ্র মোদির সরকারও ব্যাপক দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ করেন সঞ্চয়।

তিনি বলেছেন দুর্নীতি, স্বৈরাচারী শাসন, স্বজনপ্রীতি বিরুদ্ধে নেপালে যে ‘আগুনের সূত্রপাত’ হয়েছে সেটি ভারতে হতে পারে। তবে ভারতে এখনো এমন কিছু হচ্ছে না কারণ ভারতীয়রা মহাত্মা গান্ধার অহিংসা নীতি মেনে চলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার ‘শুধুমাত্র মহাত্মা গান্ধীর মতাদর্শের’ কারণে বেঁচে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শিবসেনার এ নেতা বলেন, “নেপালের এই স্ফুলিঙ্গ যদি ভারতে আসে… ভারত আজ পর্যন্ত টিকে আছে কেবল মহাত্মা গান্ধী এখানে জন্মেছিলেন বলেই। আজও মানুষ গান্ধীকে বিশ্বাস করে, সেই কারণেই এই মানুষগুলো টিকে আছে। মোদিজি, আপনি গান্ধীকে যতই গালাগালি করুন না কেন, আপনার সরকারও গান্ধীর আদর্শের কারণেই টিকে আছে।”

নরেন্দ্র মোদির সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত অভিযোগ করে সঞ্জয় বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেন, এর মানে কী? এর মানে হলো দেশে এখনো গরিব মানুষ এখনও আছে। নেপালেরও একই অবস্থা ছিল। ভারতের টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে। কারও ছেলে দুবাইয়ে, কারও ছেলে সিঙ্গাপুরে, কেউ আবার ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হচ্ছে।”

মোদি সরকারের পররাষ্ট্রনীতি পুরোপুরি ব্যর্থ দাবি করে এ  রাজনীতিবিদ বলেন, “নেপাল একসময় আমাদের বন্ধু ছিল, নেপাল ভারতকে বড় ভাই মনে করত। নেপালের যখন সংকট ছিল, তখন বড় ভাই তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। এটি আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতা।”
সূত্র: ইকোনোমিক টাইমস

্রিন্ট

আরও সংবদ