খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২৬ ভাদ্র ১৪৩২

চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে অটল দক্ষিণাঞ্চলবাসী

৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিনেই অচল মোংলা বন্দরসহ পুরো বাগেরহাট

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট, রামপাল, ফকিরহাট, চিতলমারী প্রতিনিধি |
১২:৫৮ এ.এম | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫


জেলার চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক হরতালের প্রথম দিনেই অচল হয়ে পড়েছে মোংলা আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দরসহ গোটা বাগেরহাট জেলা।
বিএনপি-জামায়াতসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা হরতাল ও সড়ক-মহাসড়ক অবরোধের কারণে বুধবার ভোর থেকে জেলার প্রধান সড়ক, মহাসড়ক, অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
হরতাল-অবরোধের অংশ হিসেবে সকাল থেকেই জেলার নির্বাচন অফিস ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন পিকেটাররা। ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে প্রবেশ করতে পারেননি। সড়ক-মহাসড়কের অন্তত ৩০টি পয়েন্টে টায়ার জ্বালিয়ে, গাছ ফেলে এবং মাছ ধরার জাল টাঙিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়।
জেলার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কের শতাধিক স্থানে অবস্থান নিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল ও পথসভা করেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা।
হরতালকারীদের অবস্থানে বাগেরহাটের সকল সড়কে গণপরিবহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। জেলা থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশালসহ ১৬টি রুটের দূরপাল­ার যাত্রীবাহী বাসের সাথে জেলা সড়কেও বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফাকা সড়কে ক্রিকেট খেলতে দেখা যায় শিশু ও কিশোরদের। তবে চিকিৎসা, পরীক্ষাসহ জরুরি প্রয়োজনে বেরহওয়া মানুষরা পড়েন চরম ভোগান্তিতে। পায়ে হেঁটে দূরের পথ পাড়ি দিতে দেখা গেছে অনেককে। একই সঙ্গে মোংলা বন্দরের আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনও স্থবির হয়ে পড়েছে। জেলার মোরেলগঞ্জের পানগুছি ও মোংলা নদীতে সড়ক বিভাগের ফেরি চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে।
দুপুরের দিকে পিরোজপুর থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে পায়ে যাওয়া মুঞ্জুর শেখের সাথে দেখা কথা হয় বারাকপুর এলাকায়। তিনি বলেন, সকাল ১০টায় জরুরি প্রয়োজনে পিরোজপুর থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হন।  বাগেরহাট এর সীমানায় আসার পরেই বাধে বিপত্তি। বন্ধ সব ধরনের যান চলাচল। কখনো পায়ে হেঁটে কখনো বা রিকশা-ইজিবাইকে তিন গুণ ভাড়া দিয়ে দেড় ঘন্টার পথ চার ঘন্টায় পৌঁছেছেন তিনি। আনোয়ার বলেন, ৬ জায়গায় রিকশা-ইজিবাইক পরিবর্তন করে গন্তব্যে এসেছি। এর চেয়ে ভোগান্তি আর কিছু হতে পারে না।   
ব্যাগ ভর্তি কাপড় নিয়ে তিন নারীকে হেটে খুলনার দিকে যেতে দেখা যায় সিএন্ডবি বাজার এলাকায়। তাদের মধ্যে রহিমা নামের একজন বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজে আমাদের এক নিকট আত্মীয় ভর্তি রয়েছেন। তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। তাকে দেখতে যাচ্ছি। তবে বরিশাল থেকে এই পর্যন্ত যে পরিমাণ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে, সেই সাথে টাকা ব্যয় করতে হয়েছে, তাতে না বের হওয়াই ভাল ছিল।
বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়ের ফতেপুর, বৈটপুর, খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের মাথাভাঙ্গা, বারাকপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হরতালের জন্য অবস্থানকারীদের জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া পথচারীদের সাথে কারাপ ব্যবহার করতে দেখা যায়। তবে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীদের এমন আচরণ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।  
দুর্ভোগের বিষয়ে জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সম্মিলিত কমিটির কো কনভেনর এম এ সালাম বলেন, দুর্ভোগ আমাদেরও কাম্য নয়। নির্বাচন কমিশনের খামখেয়ালি সিদ্ধান্তের কারণেই মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। তবে এটি জেলার প্রতিটি মানুষের দাবি। সবাই মিলেই আমরা আন্দোলন করছি।
এদিকে হরতালের সমর্থনে সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খন্ড খন্ড বিক্ষোভ মিছিল করেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা। সকাল ৮টায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, জেলা জামায়েতের নায়েবে আমীর এড. আব্দুল ওয়াদুদের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয়।
বেলা ১১টায় বাধাল এলাকায় একই দাবিতে বিএনপি নেতা খান মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। 
দুপুরে খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের কাটাখালি মোড়ে জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণা সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীদের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করেন নেতা-কর্মীরা। এছাড়া মোংলা, রামপাল, ফকিরহাট, মোল­াহাট চিতলমারী, কচুয়া, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও বাগেরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছেন নেতা-কর্মীরা। সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ঘোষণা এই হরতাল চলবে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত। এর মধ্যে যদি নির্বাচন কমিশন থেকে কোন ঘোষণা না আসে তাহলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলে জানিয়েছেন নেতারা।
মোংলা : মোংলা-রামপাল সংসদীয় আসন-৩ সহ বাগেরহাট জেলার চারটি আসনই বহাল রাখার দাবিতে ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে টানা ৪৮ ঘন্টার হরতাল অবরোধ চলছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে নদী পাড়াপার ও নৌ-চলাচল। দুই দিনের প্রথম দিনেই মোংলা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে আন্দোলনকারীরা। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ভ্যান ও রিকশা চলাচল, স্কুলে যায়নি শিক্ষার্থীরা। ফলে চরম ভোগান্তিতে পরেছে নিম্নআয়ের মানুষ ও পথচারীরা।
জানা যায়, বুধবার সকাল ৬টা থেকে সড়ক ও মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্যায়ার জালিয়ে ও ব্যারিগেট দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। মোংলা-খুলনা মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড, দ্বিগরাজ, মোংলা কলেজ মোড়, হাসপাতাল ঘেট, শেলাবুনিয়া, কানাইনগর, কুমারখালী ও মোংলা নদী পাড়াপার ঘাটসহ প্রায় ১২টির গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ব্যারিগেট দিয়ে হরতাল পালন করছে সর্বদলীয় কমিটির নেতৃবৃন্দরা। নদীতেও পাহাড়া বসানো হয়েছে, যাতে কোন নৌযান চলাচল করতে না পারে। হরতাল ও অবরোধে সকাল থেকেই মোংলা-ঘষিয়াখালী ক্যানেল দিয়ে কোন বোট, কার্গো বা লাইটার জাহাজ চলাচল করতে দেয়া হয়নি। বন্ধ রাখা হয়েছে ইপিজেডসহ সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। নদী পার হতে না পেরে গার্মেন্টস কর্মীরাও কর্মস্থলে যায়নি, স্কুলে যায়নি শিক্ষার্থীরা। ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে হরতার অবরোধ পালনে অংশ নিতে দেখা গেছে অনেককেই। 
আন্দোলনকারীরা বলেন, বাগেরহাটের একটি আসন কমিয়ে নির্বাচন কমিশন জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে বিদায় করে দাবি আদায় করা হবে। বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক হরতাল পালন করছি আমরা। এ হরতাল শেষ হলে আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে। 
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির পৌর আহবাযক মোঃ জুলফিকার আলী বলেন, মোংলা-রামপালসহ জেলার ৪টি আসনই পুনর্বহাল রাখার আহŸান জানাচ্ছি নির্বাচন কমিশনকে। না হয় আগামীতে আমরণ অনসনসহ কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে জীবনের বিনিময় হলেও সংসদীয় আসন পৃথক করতে দেয়া হবে না।  
ফকিরহাট : একই দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফকিরহাট উপজেলায় ৪৮ ঘন্টা হরতাল চলছে। এ সময় ফলতিতা মৎস্য আড়ৎ বন্ধ করে দেয় হরতাল সমর্থনকারীরা। এছাড়াও সকল দোকান-পাট বন্ধ দেখা গেছে।
বুধবার ৪৮ ঘন্টা হরতালের প্রথমদিন সকালে হরতাল সমর্থনকারী দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ ফকিরহাট ফলতিতা মৎস্য আড়ৎ বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছে মৎস্য ব্যবসায়ী ও চাষিরা। এদিন সকাল থেকে ফকিরহাট সড়ক ও মহাসড়কে দূরপাল­ার কোনো পরিবহন যাতায়াত করতে দেখা যায়নি। 
ফকিরহাট বিশ্বরোড় মোড়, কাটাখালী চত্বরসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, দূরপাল­ার বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। তবে গ্রাম অঞ্চল দিয়ে সীমিত আকারে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ও ভ্যান চলতে দেখা গেছে। হরতালের কারণে উপজেলার সকল দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে কিছু ফার্মেসীর দোকান খোলা দেখা গেছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। মহাসড়কে সিমিত আকারে কিছু মোটরসাইকেল চলতে দেখা গেছে। স্কুল-কলেজের অফিস খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। সড়ক ও মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ট্রাক, বাঁশ ও কাঠের গুড়ি ফেলে সড়কে ব্যারিকেট দিয়ে রাখে। তবে এ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি পরিবহনগুলো ছেড়ে দিতে দেখা গেছে।
এদিকে হরতাল সমর্থনে এবং চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা জানান, বাগেরহাট জেলায় চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল না করা হলে লাগাতার কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।  
রামপাল : একই দাবিতে বাগেরহাট জুড়ে চলছে সর্বাত্মক হরতাল, অবরোধ। বুধবার সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির ডাকা তৃতীয় দফার এ অবরোধ কর্মসূচি চলমান থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জেলাজুড়ে সর্বাত্মক অবরোধ ও হরতালের কারণে সড়ক ও নৌপথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ইপিজেড, শিল্প-কলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, খেয়া ও ফেরি পারাপার বন্ধ রয়েছে। বন্দর জেটির কার্যক্রম ও খুলনা-মোংলা মহাসড়ক পথে এ বন্দরের পণ্য পরিবহনও বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়াও সরকারি বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ভোর ৫টা থেকেই উপজেলার সড়ক-মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সর্বস্তরের জনতা। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে এসেছেন। এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষদের রাস্তায় রাস্তায় অবস্থান নিতে দেখা যায়। অবরোধের কারণে বাগেরহাটের কোনো উপজেলা থেকেই ভোরে দূরপাল­ার কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। চলছে না অভ্যন্তরীণ কোন যান। জরুরি প্রয়োজনে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। হাট-বাজার ও দোকান-পাট খোলা না থাকায় জনজীবনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। 
চিতলমারী : একই দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা টানা ৪৮ ঘন্টার হরতাল কর্মসূচি পালন করছেন। বুধবার তৃতীয় দফায় হরতালের প্রথমদিন সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। জেলার ৯টি উপজেলা থেকে দূরপাল­ার কোন পরিবহন চলাচল করেনি। হরতালের সমর্থনে সর্বস্তরের মানুষ বিক্ষোভ করেছে। এদিন সকালে ঢাকা-মাওয়া-পিরোজপুর-বাগেরহাট ও চিতলমারী ও খুলনা সড়কের মচন্দপুর মোড়ে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জ¦ালিয়ে সড়ক অবরোধ করে।
কর্মসূচিতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ এই হরতালের সমর্থন জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন। হরতাল চলাকালীন রাস্তায় ভ্যান গাড়ি, কিছু মাহিন্দ্রা ও অটো ভ্যান ছাড়া অন্য কোন যান চলাচল করেনি। জরুরি পরিসেবার বাইরে সকল দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কার্যত সারাদেশের সাথে এ উপজেলা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে আছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুনিয়া বাসস্ট্যান্ডে পথ সভায় রাখেন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মমিনুল হক টুলু বিশ^াস, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হাসান অপু, জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মনিরুজ্জামান, সেক্রেটারী জাহিদুজ্জামান নান্না, উপজেলা বিএনপি’র সংগঠনিক সম্পাদক এড. ফজলুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উপজেলা শাখার সভাপতি ডাঃ কাজী আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক মাওঃ শাহাদাৎ হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ জাকারিয়া মিলন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ নেয়ামত আলী খান প্রমুখ। 
দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। গেল ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। এরপরও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনইজারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল­াহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। দীর্ঘদিন বাগেরহাটে যে সীমানা ছিল: বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল­াহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।

্রিন্ট

আরও সংবদ