খুলনা | সোমবার | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৩১ ভাদ্র ১৪৩২

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে : সালাহ উদ্দিন

খবর প্রতিবেদন |
১২:৪৭ এ.এম | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘ফেব্র“য়ারিতে নির্বাচন না হলে জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে। প্রধান উপদেষ্টাও ঘোষিত সময়ে নির্বাচনের বিষয়ে দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। আমরা তাকে নির্বাচন নিয়ে আমাদের অবস্থান জানিয়েছি। তাকে এও জানিয়েছি, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে আইনি পন্থার বাইরে সংবিধান সংশোধনীর কোনও নজির সৃষ্টি হোক সেটা আমরা চাই না।’
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জুলাই সনদ হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক দলিল। তাই এটি যেন প্রশ্নাতীত হয় এবং ভবিষ্যতে যেন আইনি চ্যালেঞ্জে না পড়ে। প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে পরামর্শ নিয়েও বাস্তবায়ন করতে পারেন। আমরা চাই আলোচনার টেবিলে সবকিছু নিষ্পত্তি হোক। আমরা জোর দিয়ে বলেছি ফেব্র“য়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে কোনও শর্ত থাকা যাবে না। সংস্কার ও বিচার চলমান থাকবে। এগুলো কোনোটার ওপর কোনোটা নির্ভরশীল নয়। নির্বাচনের মাধ্যমেই আমাদের সমস্ত রাজনৈতিক অধিকার বাস্তবায়ন হবে।’
তিনি জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নেতৃত্বে সব রাজনৈতিক দল যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তার ভিত্তিতে জুলাই সনদ প্রস্তুত হয়েছে। কিন্তু সেটা এখনও চূড়ান্ত রূপ পায়নি। কিছু কিছু সংশোধনী আছে, সেগুলো আমরা আমাদের পক্ষ থেকে জানাবো। তবে সেগুলো মেজর কিছু নয়। আলোচনার বাইরে কিছু বিষয় সনদে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল বিধায় আমরা কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। এর খসড়া আমরা কারেকশন করে জমা দেবো। কমিশনের চাওয়া অনুযায়ী সনদে সই করার জন্য দুই জনের নাম জমা দেওয়া হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। আমরা সনদে সইয়ের জন্য প্রস্তুত, তা আগেও জানিয়েছি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘সনদের সঙ্গে একটি অঙ্গীকারনামায়ও সইয়ের কথা বলা হয়েছে। তবে এটি সনদের অংশ হবে কিনা, সেটা আমরা জানি না। এ বিষয়ে আমাদের কিছু অবজারভেশন আছে, সেটা আমরা জানাবো।’
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আশা করি রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো সনদে অন্তর্ভুক্ত ও বাস্তবায়ন হবে। এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আমরা আমাদের পরামর্শগুলো দিয়েছি, কীভাবে তা বাস্তবায়ন করা যায়। কমিশনে বিভিন্ন দল বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলোর বিষয়ে আমরা আমাদের কথা বলেছি। সাংবিধানিক পন্থাগুলো আমরা মেনে নেবো। তবে আমরা কোনও খারাপ নজির রাখতে চাই না। বিশেষ করে সাংবিধানিক আদেশে আইনি পন্থার বাইরে সংবিধান সংশোধনীর কোনও নজির সৃষ্টি হোক সেটা আমরা চাই না।’ সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে আইনি পরামর্শ নিতে প্রধান উপদেষ্টাকে পরামর্শ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল­াহসহ যুগপতের শরিক নেতারা।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ