খুলনা | সোমবার | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৩০ ভাদ্র ১৪৩২

ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদ

ফরিদপুরে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ, ভোগান্তি চরমে

খবর প্রতিবেদন |
১২:৫৭ এ.এম | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫


ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন রোববার ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশাপাশি রেলপথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সড়ক ও রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সকাল ৭টা থেকে শত শত বিক্ষোভকারী মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন। তারা গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ ও সুয়াদি এলাকায় এবং ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পুখুরিয়া, হামিরদী ও নওয়াপাড়া এলাকায় আন্দোলনকারীরা অবস্থান করেন। এ ছাড়া, ভাঙ্গা গোলচত্বরেও বিক্ষোভ চলে। 
আন্দোলনকারীরা জানান, ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করার সরকারি গেজেট বাতিল করতে হবে। দাবি পূরণ না হলে আন্দোলনের মাত্রা আরো বাড়বে বলে হঁশিয়ারি দেন তারা।
আন্দোলনকারী রহিম মণ্ডল বলেন, “আমরা ন্যায়সঙ্গত দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। আমাদের আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছে, যে কোনো সময় আমাদেরও আটক করা হতে পারে। আমরা আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ তুলবো না।” 
গুলজার রহমান নামে অপর আন্দোলনকারী বলেন, “এই কর্মসূচি তিনদিন চলবে। প্রয়োজনে আমরা সাত দিন সড়ক অবরোধ করবো। আমাদের প্রাণের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রেলপথের ওপরও শুয়ে থাকবো।”
ট্রেন অবরোধের কথা জানিয়ে ভাঙ্গা রেলস্টেশনের মাস্টার সাকিবুর রহমান বলেন, “রাজবাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল নকশিকাঁথা ট্রেন। এই ট্রেনটি বিক্ষোভকারীরা আটকে দেওয়ায় ভাঙ্গা জংশনে ঢাকা থেকে আসা রাজবাড়ীগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস আটকা পড়ে। এছাড়া খুলনা তথা দক্ষিণ অঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ ছিল।”
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রোকিবুজ্জামান বলেন, “এত বড় জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। নিরাপত্তা জোরদার করতে মহাসড়কে একটি জলকামান নামানো হয়েছে।”
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) আসিফ ইকবাল বলেন, “সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। ভোর থেকেই চারজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রায় এক হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মহাসড়কে টহল দিচ্ছেন। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল­ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

্রিন্ট

আরও সংবদ