খুলনা | বুধবার | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১ আশ্বিন ১৪৩২

ফকিরহাটের পিলজংগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র একাডেমিক ভবন পরিত্যাক্ত ঘোষণা

অমিত কর বিলাস, চুলকাঠি (বাগেরহাট) |
১১:২৪ পি.এম | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫


বাগেরহাটের ফকিরহাটের শতবছরের ঐতিহ্যবাহী পিলজংগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র একাডেমিক ভবনটির প্লাস্টার খসে পড়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মারাত্মক আহত হওয়ায় ভনটি এখন পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে ৫শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া করা এখন অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। অতিদ্রুত শতবছরের ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়টিতে নতুন একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ করার জন্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করা হচ্ছে। 
জানা গেছে, ১৯৩৩ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর হতে শিক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে। সেই হিসাবে বিদ্যালয়টি তাদের দীর্ঘদিনের সুনাম অক্ষুন্ন রাখে। এমতাবস্থায়, ১৯৯৪ সালে তৎকালিন বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর একতলা বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ হয়। তৎকালীন পরাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম এস এম মুস্তাফিজুর রহমান এটির শুভ উদ্বোধন করেন। সেই হতে ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণির শতশত শিক্ষার্থী এই ভবনে তাদের লেখাপড়ার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু পুরাতন এই ভবনটির উপরী অংশের প্লাস্টার খসে পড়ে অনেক ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা আহত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ক্লাস চালাকালীন সময়ে প্লাস্টার খসে পড়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। 
১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোঃ ওমর ফারুক ও ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোঃ ইকবাল হোসেনসহ একাধিক শিক্ষার্থী জানায় ১৯৯৪ সালে এই বিদ্যালয়ে ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট একটি একতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ করার পর হতে আর কোনদিন এটি মেরামত বা সংস্কার করা হয়নি বলে তারা শুনেছে। সেই ভবনটি এখন চরম ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ হওয়ায় তা এখন পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়। আর পরিত্যাক্ত ঘোষণা করার পর হতে ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণির শতশত শিক্ষার্থী ১৯৪৭ সালে নির্মিত অন্য একটি ভবনে গাদাগাদি করে তাদের লেখা-পড়ার কাজ পরিচালনা করছে, যা অত্যান্ত অমানবিক। তারা বলছে আগের পরিত্যাক্ত ঐ ভবনের চারটি কক্ষে তারা খোলামেলাভাবে ক্লাস করতো, এখন সেই ছাত্র-ছাত্রীরা গাদাগাদি করে পুরাতন অন্য একটি রুমে ক্লাস করতে তাদের সীমাহীন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। 
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় শতবছরের ঐতিহ্যবাহী পিলজংগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র একাডেমিক ভবনটির প্লাস্টার খসে পড়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মারাত্মকভাবে আহত হওয়ায় স্থানীয় সরকার বিভাগ সেটি ঝুঁকিপূর্ণ পরীক্ষা করে তা পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেন। পরিত্যাক্ত ঘোষণার পর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে গত ১৮আগস্ট প্রধান প্রকৌশলী শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর শিক্ষা ভবন ঢাকায় ১টি আবেদন করেছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, একমাত্র একাডেমিক ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়। এর পর ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণির শতশত শিক্ষার্থীদের ১৯৪৭ সালে নির্মিত অন্য একটি ভবনে গাদাগাদি করে তাদের লেখা-পড়ার কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত অমানবিক। তিনি আরো বলেন, আমরা নতুন একটি একাডেমিক ভবনের জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে প্রধান প্রকৌশলী ঢাকার কাছে আবেদন করেছি। তাঁরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

্রিন্ট

আরও সংবদ