খুলনা | বুধবার | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১ আশ্বিন ১৪৩২

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ইউরোপের আরেক দেশ লুক্সেমবার্গও

খবর প্রতিবেদন |
০১:১০ এ.এম | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫


এবার স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ লুক্সেমবার্গ। সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী লুক ফ্রিডেন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। এ সময় তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সম্মেলনে লুক্সেমবার্গের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা আসতে পারে। 
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ বলছে, স¤প্রতি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। এরপর এক এক করে অনেক দেশ এমন ঘোষণা দিতে শুরু করে। এ তালিকায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়াও। ঘোষণা দেওয়ার ব্যাপারটি বিবেচনা করছে নিউজিল্যান্ড। এবার তালিকায় নতুন করে যুক্ত হলো লুক্সেমবার্গ। 
প্রায় দুই বছর ধরে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত চলছে। এই সংঘাতের জেরে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা জোরদার করছে ইসরায়েল, মরছে হাজারো বেসামরিক নাগরিক। আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইসরায়েলের এই কার্যক্রমের নিন্দা জানানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াচ্ছে অনেকে। ত্রাণ পাঠালে তাতেও বাধা হিসেবে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। এর জেরে বিভিন্ন দেশের নেতারা দেন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির ঘোষণা। 
এবার লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী ফ্রিডেন বললেন, ‘গত কয়েক মাস থেকে গাজার মাটিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠছে। এ কারণে ইউরোপ ও বিশ্বের অন্যান্য এলাকা থেকে এমন পদক্ষেপ আসছে যে, দ্বি-রাষ্ট্র পদ্ধতিতে সমাধান এখনো প্রাসঙ্গিক। আর এ জন্যই আসলে লুক্সেমবার্গের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী সপ্তাহে ফিলিস্তিনকে যেসব দেশ রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে, তাতে তারাও থাকতে চায়।’ 
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশেনে যেসব দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চাইছে, তার মধ্যে অন্যতম ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, বেলজিয়াম। কিন্তু আমেরিকা ও ইসরায়েল এসব সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে। স¤প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, এমন সিদ্ধান্ত হামাসকে আরও উসকে দেবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে হামলার মাধ্যমে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। ইসরায়েলের সরকারি তথ্যের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্তা রয়টার্স জানায়, হামলায় ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হয়, যাদের বেশির ভাগই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক।
এর জবাবে ইসরায়েলের পরিচালিত সামরিক অভিযানে গাজায় প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। এটি হামাস-শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য। জাতিসংঘ এই তথ্যকে বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে গণ্য করেছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজায় ফিলিস্তিনিদের ধ্বংস করার লক্ষ্যে ‘গণহত্যা’ চালানোর জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা। আজ মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনের (সিওআই) প্রধান নাভি পিল­াই বলেন, ‘গাজায় গণহত্যা চলছে এবং তা অব্যাহত আছে। এর দায়ভার ইসরায়েল রাষ্ট্রের ওপরই বর্তায়।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, কমিশনটি ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। গাজায় যুদ্ধ শুরুর প্রায় দুই বছর পর কমিশন তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সরাসরি কথা বলে না। এর আগেও এরা ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল। 

্রিন্ট

আরও সংবদ