খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২ আশ্বিন ১৪৩২

দেবহাটা ফুড আফিসে তালা দেওয়ার চেষ্টা!

জনতার ধাওয়া খেয়ে পালালেন সমন্বয়ক পরিচয়দানকারীরা

দেবহাটা প্রতিনিধি |
১২:১৫ এ.এম | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫


দেবহাটা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে খাদ্য বান্ধব ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ করে চাঁদার দাবি করে সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী কয়েকজন। গত কয়েকদিন ধরে ওই কর্মকর্তাকে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিতে থাকে উক্ত যুবকরা। পরে বুধবার তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা নিতে হাজির হয় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কর্মকর্তার কার্যালয়ে। এসময় তারা জরিমানা স্বরূপ দাবিকৃত ২০ হাজার টাকা না দিলে উক্ত দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেবে বলেও সেখানে বলতে থাকে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সেখানে হাজির হয়ে স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া দিলে সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী কয়েকজন পালিয়ে যায়। 
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের অফিস সহকারী নুরুল ইসলাম বলেন, কয়েক যুবক এসে কর্মকর্তা কখন আসবে সেটি জানতে চায়। অফিসারের আসতে দেরি হবে বলে আমি তাদেরকে বসতে বলি। তারা খুব উত্তেজিত ছিল এবং অফিসার না এলে তালা দিয়ে দিবে বলে বলতে থাকে। এরপর অপেক্ষা করে বেশ কিছু সময় তারা বসে থাকার পর অফিস থেকে কিছু না বলে বের হয়ে যায়। স্থানীয় ডিলার ফয়জুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, আব্দুর রহমান, মিজানুর রহমান, শেখ মাখছুদুর রহমান, আব্দুল আলিম মিঠু বলেন, কয়েকদিন ধরে সমন্বয়ক পরিচয়ে কয়েক যুবক খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে এসে ঝামেলা করার খবর শুনেছি। সমন্বয়ক পরিচয়দানকীদের পক্ষ থেকে অফিসে তালা দিতে আসার খবর শুনে আমরা উপজেলায় অসি। ততক্ষণে তারা পালিয়েছে বলে জানাতে পারি। 
এদিকে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে চাঁদার দাবিতে তাঁলা ঝুলিয়ে দেওয়ার কথা শুনে সেখানে হাজির হয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের উপস্থিত হয়ে সমন্বয়ক পরিচয়দানকারীদের খুঁজতে থাকে। সাধারণ মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন পালিয়ে যায় এবং বাকি কয়েকজনকে ধাওয়া করলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তবে এ সময় বিক্ষুব্ধরা সাংবাদিক ও এনসিপি নেতা ফারুক মাহাবুব রহমানের উপর চড়াও হয়ে তাকে লাঞ্ছিত করে। 
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শাহিনা খাতুন বলেন আমাকে ফাঁসিয়ে জরিমানা নামে ২০ হাজার টাকার দাবি করে কয়েক যুবক। ঘটনার সময় আমি অফিসের কাজে বাইরে ছিলাম। আমি জানতে পারি তারা আমার অফিসে টাকা নেওয়ার জন্য এসে বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে। এর বাইরে কি হয়েছে আমার জানা নেই।

্রিন্ট

আরও সংবদ