পাসপোর্ট ছাড়াই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বৈমানিক ক্যাপ্টেন মুনতাসির রহমান জেদ্দায় ফ্লাইট পরিচালনা করেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ নিয়ে জেদ্দা পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা ক্যাপ্টেন মুনতাসিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আটক করেন। ইমিগ্রেশনের জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার সকালে তাকে বিমান কর্তৃপক্ষের তত্ত¡াবধানে হোটেলে নেয়া হয়। পরে সন্ধ্যার ফ্লাইটে তাঁর পাসপোর্ট পাঠানোর ব্যবস্থা নেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিমানের এই পাইলট পাসপোর্ট ছাড়া ফ্লাই করায় মঙ্গলবার রাতে জেদ্দা বিমানবন্দরে আটক হন।  
এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে প্রশ্ন উঠেছে বিমানের জবাবদিহিতা নিয়ে। এর আগেও দোহায়  পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ ও লন্ডনে ক্যাপ্টেন এনাম অনুরূপ ঘটনায় ইমিগ্রেশনে সমস্যায় পড়েন।
সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দরে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন মুনতাসির রহমানের সঙ্গে একটি পাসপোর্ট ছিল, তবে সেটা নিজের নয়। তাড়াহুড়ায় ভুল করে তিনি মায়ের পাসপোর্ট নিয়ে যান বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম বলেন, পাইলট ‘ভুলক্রমে তাঁর নিজের পরিবর্তে মায়ের পাসপোর্ট নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা’ করেন। জেদ্দায় ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময় বিষয়টি শনাক্ত হয়। পরে বিমানের জেদ্দা স্টেশন ম্যানেজারের হস্তক্ষেপে তাঁর জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি এখন হোটেলে অবস্থান করছেন।
এ ব্যাপারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ সাফিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।
এর আগেও বিমানে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক ফ্লাইট পরিচালনার সময় ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ পাসপোর্ট ছাড়া দোহায় পৌঁছে সেখানে আটকে পড়েন। তাকে দোহা বিমানবন্দরের বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি এবং পরে তিনি অন্য একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন।
এছাড়া চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ক্যাপ্টেন এনাম মেয়াদোত্তীর্ণ আইডি কার্ড নিয়ে ঢাকা-লন্ডন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে আটক হন। পরবর্তীতে তাকে টিকিট কেটে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।