খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২ আশ্বিন ১৪৩২

কয়রায় দাবিকৃত চাঁদার অর্থ না দেওয়ায়

ব্যবসায়ীকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ স্বর্ণালঙ্কার ও দোকানের মালামাল লুট

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:৩৩ এ.এম | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫


জেলার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের গোলখালী গ্রামের ব্যবসায়ী টিএম জুলফিকার রহমানকে বেধড়ক মারপিট করে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও দোকানের মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। দাবিকৃত চাঁদার দুই লাখ টাকা না দেওয়ার জের ধরে গতকাল বুধবার বিকেলে অতর্কিত হামলার এ ঘটনা ঘটায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয়রা আহত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তিনি মৎস্য ঘের ব্যবসার পাশাপাশি মুদি দোকানী।
আর হামলাকারী গোলখালী গ্রামের মৃত ছাকাত গাজীর ছেলে নুরুজ্জামান গাজী, মৃত মতলেব গাজীর ছেলে মাকসুদুল গাজী, মৃত আকের গাজীর ছেলে আনারুল গাজী ও মৃত মতলেব গাজীর ছেলে মাহাবুব আলম গাজী দীর্ঘদিন সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণের পাশাপাশি দস্যুতার সাথে জড়িত বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
আহত ব্যবসায়ী জুলফিকার রহমান বলেন, হামলাকারী বনদস্যুদের বাড়ির পাশেই আমার মৎস্য ঘের ও দোকান। সে কারণেই দীর্ঘদিন থেকে তারা আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। আমি গরীব মানুষ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সে কারণে তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিতে পারার জেরধরে বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অতর্কিত হামলা করে তারা। লাঠিসোটা, লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক মারপিটের একপর্যায়ে মৃত ভেবে আমাকে ফেলে রেখে চলে যায়। তাদের কাছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। এসময়ে আমাকে উদ্ধারকারীদের উপরও চড়াও হয় হামলাকারী সন্ত্রাসীরা। 
আহত ব্যবসায়ী আরও অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা আমার গলার স্বর্ণের চেইন, কাছে ও দোকানে থানা নগদ অর্থ ও দোকানের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে। তাৎক্ষনিকভাবে লুটপাটের পরিমাণ জানাতে পারেননি তিনি।
এ ব্যাপারে কয়রা থানার চলতিদায়িত্বে অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মোঃ শাহ আলম বলেন, আহত ব্যবসায়ী লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ