খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৩ আশ্বিন ১৪৩২

বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের দাবি

দুই দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত, রোববার থেকে আবারও নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট |
০৫:৪৩ পি.এম | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫


সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলন দুই দিনের জন্য স্থগিত ও নতুন কর্মসূচি ঘোষনা করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক জরুরী সভায় এই কর্মসূচি ঘোষনা করেন কমিটির কো-কনভেনর এম এ সালাম।

তিনি বলেন, সরকারি ছুটির কারণে শুক্রবার ও শনিবার আমরা নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত করেছি। কারণ এই সময় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ছুটিতে থাকবেন। রোববার থেকে আবারও একইভাবে ঘেরাও কর্মসূচি চলবে। এছাড়া আগামী সপ্তাহে গনস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করার ঘোষনা দেন এই নেতা।

এদিকে চারটি আসন বহালের দাবিতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করে রাখে নেতাকর্মীরা। এসময় নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সকাল থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে খন্ড খন্ড মিছিল এসে জড়ো হতে থাকে নির্বাচন কর্মকর্তার প্রধান ফটকে। দুপুরের দিকে ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেয় ডাকসুর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ বেলাল হোসেন অপু।

তিনি বলেন, এটা বাগেরহাটবাসীর যৌক্তিক দাবি, তাই আমিও তাদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছি। আশাকরি নির্বাচন কমিশন আমাদের চারটি আসন ফিরিয়ে দিবে। যদি না দেয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।

সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা বলছেন, চারটি আসন বাগেরহাটবাসীর অধিকার। চারটি আসন ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে অসহযোগ আন্দোলন করার ঘোষনা দেন নেতারা।

অন্যদিকে একটি রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ ‍দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।রু উচ্চ আদালত যাতে চারটি আসন ফিরিয়ে দেও সেজন্যও কাজ করা হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জেষ্ঠ আইনজীবি শেখ মোহাম্মাদ জাকির হোসেন।

গেল ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখারদাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। এরপরেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনইজারি রেখে চুড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গন মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।

চুড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা)ও বাগেরহাট-৩(কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।

দীর্ঘদিন থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা: বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২(বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।

্রিন্ট

আরও সংবদ