খুলনা | শুক্রবার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৩ আশ্বিন ১৪৩২

দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত পৃথক করলো সরকার

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩১ এ.এম | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫


বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতকে সম্পূর্ণভাবে পৃথক করা হলো। সরকারের আশা, এ সিদ্ধান্তে মামলা নিষ্পত্তির গতি বাড়বে এবং দীর্ঘদিনের মামলাজট অনেকাংশে কমে আসবে। বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি  প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
উলে­খ্য, জেলা আদালতগুলোতে যুগ্ম-জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ এবং জেলা জজ এই তিন পর্যায়ের বিচারকগণকে একই সঙ্গে দেওয়ানি ও ফৌজদারি (দায়রা) মামলার বিচার করতে হয়।  একই বিচারকের ওপর এই দ্বৈত দায়িত্ব মামলাজট এবং বিচারিক দীর্ঘসূত্রতার একটি প্রধান কারণ।
দেশের অধস্তন আদালতগুলোতে বর্তমানে বিচারাধীন দেওয়ানি মামলার সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ এবং ফৌজদারি মামলা প্রায় ২৩ লাখ। ফৌজদারি মামলার সংখ্যা দেওয়ানি মামলার তুলনায় বেশি হওয়া সত্তে¡ও ফৌজদারী বিচারককে উভয় ধরনের মামলা পরিচালনা করতে হয়। এর ফলে মামলা নিষ্পত্তির গতি হ্রাস পায় এবং মামলাজট বৃদ্ধি পায়।
এই বাস্তবতা বিবেচনায় পৃথক ২০৩টি অতিরিক্ত দায়রা আদালত এবং ৩৬৭টি যুগ্ম-দায়রা আদালত প্রতিষ্ঠা করে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এই আদালতগুলোতে বিচারকরা কেবল ফৌজদারি মামলার বিচার করবেন। ফলে বিচারকদের দ্বৈত দায়িত্বের অবসান ঘটাবে এবং বিচারিক কার্যক্রমে প্রত্যাশিত গতি তৈরি হবে। যুগান্তকারী এই সিদ্ধান্তের ফলে জেলা পর্যায়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক হয়ে যাচ্ছে। এতে করে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় আদালতেই মামলা নিষ্পত্তির পরিমাণ ও গতি আগের চেয়ে বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। ফলে বিদ্যমান মামলাজট উলে­খযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ