খুলনা | শুক্রবার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৩ আশ্বিন ১৪৩২

বিজিবিতে যোগ দিলেন ফেলানীর ভাই আরফান

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৫ এ.এম | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫


কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ির অনন্তপুর সীমান্তে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বিএসএফ’র গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই মোঃ আরফান হোসেন (২১) বিজিবির সিপাহি পদে যোগ দিলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি)। সে সময় বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হওয়ার পর কাঁটাতারে ঝুলে ছিল বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুনের মরদেহ। এই ঘটনা তখন সারা দেশের মানুষের বিবেককে নাড়া দেয়।
গত ২৩ ফেব্র“য়ারি লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) আয়োজিত সিপাহী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তিনি উত্তীর্ণ হন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে নিয়োগপত্র নিয়োগপত্র হস্তান্তর করেন। এ সময় আরফান হোসেনের বাবা মোঃ নুরুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
মাত্র ১৫ বছর বয়সী ফেলানীর মর্মস্পর্শী হত্যাকাণ্ড দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। সেই থেকে ন্যায়বিচারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল তার পরিবার। তবে এবার নতুন অর্জন তাদের জীবনে এনেছে আশার আলো।
নিয়োগপত্র পাওয়ার পর ফেলানীর ভাই আরফান হোসেন আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল দেশের জন্য কাজ করবো। ফেলানী হত্যার পর মানুষের প্রতিবাদ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে বিজিবিতে যোগ দিতে। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। বিজিবিকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে দেশের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।’
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, ‘বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে আছে। ফেলানীর ছোট ভাই বিজিবি নিয়োগ পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু করবেন। আমরা আশা করি, প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি একজন যোগ্য বিজিবি সদস্য হিসেবে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।’
তিনি বলেন, সীমান্তে ফেলানী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বদা সীমান্তে অত্যন্ত সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে।
এইচএসসি পাস আরফান হোসেন নিয়োগপত্র পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, ছেলের এই চাকুরি তার যোগ্যতায় হয়েছে, সবার দোয়াও ছিল। তার ছেলে চাকুরি জীবনে সততা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে সক্ষম হবে। তাহলে তার মেয়ে ফেলানীর আত্মা শান্তি পাবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ