খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৯ আশ্বিন ১৪৩২

প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সংগীত ও ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবিতে খুলনায় স্মারকলিপি

খবর বিজ্ঞপ্তি |
১২:১১ এ.এম | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫


প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সংগীত ও ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবিতে খুলনায় স্মারকলিপি প্রদান করে  জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের মহানগর ও জেলা শাখা।  মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ প্রদান ও গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়  দেশের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার মান রক্ষার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের বিধি বজায় রাখা অপরিহার্য। তাই দ্রুত প্রজ্ঞাপন বাতিল করে বিদ্যমান বিধি-কানুন কার্যকর করতে হবে। দাবি কার্যকর না করা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন সংগঠনের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়  ১. বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ। সংবিধানের ২(ক) অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে উলে¬খ আছে যে, “রাষ্ট্রের ধর্ম ইসলাম।” সুতরাং দেশের আগামী প্রজন্মকে সঠিক ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তোলা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
‎‎২. প্রাথমিক স্তর একটি শিশুর জীবনের ভিত্তি। এখানে  নৈতিকতা ও আদর্শ গঠনের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই। অথচ বর্তমানে পর্যাপ্ত ধর্মীয় শিক্ষক না থাকায় শিশুরা কাক্সিক্ষত নৈতিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
‎৩. স¤প্রতি সরকার কর্তৃক গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যা ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। গান শেখানো কখনোই প্রাথমিক শিক্ষার আবশ্যক অংশ হতে পারে না। বরং এটি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক অনুকরণ প্রবণতা সৃষ্টি করবে, যা ভবিষ্যতে জাতির জন্য মারাত্মক হুমকি হতে পারে।
‎৪. আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করিড় দেশের সর্বস্তরের জনগণ চান তাঁদের সন্তানরা ধর্মীয় মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও মানবিকতার আলোকে বেড়ে উঠুক। এর জন্য অপরিহার্য হলো প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‎স্থায়ীভাবে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ।
‎দাবিসমূহ হচ্ছে : ‎‎১. দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবিলম্বে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।‎ ২.  গানের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সম্পূর্ণরূপে বাতিল করতে হবে। ‎৩. শিশুদের নৈতিক ও আদর্শিক শিক্ষা নিশ্চিতে ধর্মীয় পাঠ্যক্রমকে আরো শক্তিশালী ও বাধ্যতামূলক করতে হবে। ‎৪. জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নে আলেম সমাজের মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
‎স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের উপস্থিত ছিলেন সভাপতি গোলামুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া, সহ-মাওলানা ইকবাল মাহমুদ, মাওলানা আসাদুজ্জামান, মাওলানা আব্দুল্লাহ মুখতার প্রমুখ।

্রিন্ট

আরও সংবদ