খুলনা | রবিবার | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১২ আশ্বিন ১৪৩২

চট্টগ্রামে জুলাই হত্যাকাণ্ডে প্রথম চার্জশিট গ্রহণ, সাবেক তিন মন্ত্রীসহ ২৩১ আসামির বিচার শুরু

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৩ এ.এম | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫


চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদুল ইসলাম শহীদ হত্যা মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ২৩১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। এটি চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রথম কোনো অভিযোগপত্র গ্রহণ।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফা শুনানি শেষে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোঃ রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘শহিদুল ইসলাম শহিদ হত্যা মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেছিলেন। আদালত আবেদন খারিজ করে ২৩১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণের আদেশ দেন। এই মামলায় মোট ৮৪ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’’
এর আগে, গত ৩০ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ ফয়সাল ২৩১ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় নগরের বহদ্দারহাটে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে পিস্তল, শটগানসহ ভারী অস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়া হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হন শহীদুল ইসলাম শহীদ। গুরুতর আহতাবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিহত শহিদের ভাই শফিকুল ইসলাম চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন।
মামলায় উলে­খযোগ্য আসামিরা হলেন-সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, এম এ লতিফ, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, মহিউদ্দিন বাচ্চু, আব্দুস ছালাম, দিদারুল আলম দিদার, এস এম আল মামুন ও নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চসিকের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হক, নুর মোস্তফা টিনু, সলিমুল­াহ বাচ্চু, জিয়াউল হক সুমন ও নুরুল আজিম রনিসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

্রিন্ট

আরও সংবদ