খুলনা | রবিবার | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১৩ আশ্বিন ১৪৩২

‘সব হারিয়ে’ মেয়েকে নিয়েই বেঁচে ছিলেন সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিলো দু’জনকে

খবর প্রতিবেদন |
০১:১১ এ.এম | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫


স্বামীর মৃত্যুর পর সম্পদসহ নানা বিষয় নিয়ে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কিছুটা মনোমালিন্য দেখা দেয়। একপর্যায়ে আবেদিতা চৌধুরী (আঁখি) একমাত্র মেয়ে প্রথমা চৌধুরীকে নিয়ে হবিগঞ্জ থেকে চলে আসেন সুনামগঞ্জে। শহরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। মেয়ে পড়ত শহরের সুনামগঞ্জ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে, অষ্টম শ্রেণিতে। মেয়েকে নিয়ে সব স্বপ্ন ছিল আঁখি চৌধুরীর। তাকে অবলম্বন করেই বেঁচে ছিলেন। কিন্তু একটি দুর্ঘটনায় সব কিছু থেমে গেছে। শুক্রবার সকালে সড়কে ঝরে গেছে মা ও মেয়ের প্রাণ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আবেদিতা চৌধুরীর (৪০) বাবার বাড়ি সুনামগঞ্জের শাল­া উপজেলায়। তাঁর বিয়ে হয় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার নজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রণয় দাসের সঙ্গে। বছর আট আগে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বামী মারা যান।
গতকাল সকালে দুর্গাপূজা সামনে রেখে মেয়েকে নিয়ে হবিগঞ্জ শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন আবেদিতা। তাঁদের বহনকারী অটোরিকশাটি সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আবেদিতা চৌধুরী, তাঁর মেয়ে প্রথমা চৌধুরী ও অটোরিকশা চালক সজল ঘোষ (৫০) মারা যান।
আবেদিতা চৌধুরীর আত্মীয় পবিত্র দাস বলেন, সড়কে একটি পরিবার শেষ হয়ে গেছে। মেয়েকে নিয়ে সব স্বপ্ন ছিল আবেদিতা চৌধুরীর।
সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি গৌরী ভট্টাচার্য জানান, আবেদিতা চৌধুরী মেয়েকে নিয়ে মহিলা পরিষদের সাপ্তাহিক পাঠচক্রে নিয়মিত আসতেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর মেয়ের কথা ভেবে আর সংসার পর্যন্ত করেননি। তিনি বলেন, বেপরোয়া ট্রাক মহূর্তেই মা-মেয়েসহ তিনজনের প্রাণ কেড়ে নিলো। আসলে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কেউ ভাবে না, যে কারণে সড়কে মৃত্যু বাড়ছে। একেকটি পরিবার শেষ হয়ে যাচ্ছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ