খুলনা | রবিবার | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১৩ আশ্বিন ১৪৩২

মামলাবাজ ও ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

লস্কর নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত, আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার আহŸান

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:৫৬ এ.এম | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫


মামলাবাজ, ভূমিদস্যু ও নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের হোতা রূপসা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের আশরাফ লস্করের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মাহবুব লস্কর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাহবুব লস্করের নাতনী বেদনা খাতুন, ডালিয়া খাতুন, শহিদুল লস্কর।  
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, রূপসা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের  মৃত রুস্তম লস্করের ছেলে আশরাফ লস্কর (৬৫)। তিনি বর্তমানে ঢাকায় (মিরপুর-১, বাড়ি নং-১৪, রোড নং-৩) বসবাস করেন। তিনি নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। অসহায় মানুষের উপর জুলুম, জমি বিক্রি করে তাদের কাগজপত্র থাকা সত্তে¡ও দখল না দিয়ে হয়রানী করে আসছেন তিনি। এমনকি বিভিন্ন থানায় এ অসহায় পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, ও হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করে স্বার্থ হাসিল করছেন। তার অত্যাচারে বসতভিটা ছেড়ে অন্যত্র মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। আশরাফ লস্কর সিন্ডিকেটের অন্তরায় তার স্ত্রী, সেলিম লস্কর ওরফে মজনু, কবির শেখ, স ম হাবিবুর রহমান এদের নির্যাতন করে আসছে। অসহায় এ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তারা কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। হয়রানিমূলক এ কর্মকান্ডের যারা শিকার তারা হলেন আনন্দনগর গ্রামের ডালিয়া খাতুন, বেদানা খাতুন, সোবহান শেখ, আমিন শেখ, জামাল শেখ, বিল­াল ওরফে মাহবুব লস্করের পরিবারের অন্যরা। আশরাফ লস্করের বিচরণ শুধু খুলনা জেলা নয়, সুদূর ঢাকা পর্যন্ত এর দৌরাত্ম্য। ঢাকায় থেকে তিনি বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ফায়দা লোটার জন্য এক শ্রেণির কুচক্রী আইনী লোকের মাধ্যমে বিভিন্ন থানায় তাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি তার মেয়ে কেয়া বেগমকে  দিয়ে টাকাওয়ালা ব্যক্তিদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কৌশলে ফাঁদে ফেলে মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। সর্বশেষ গত ২৫ সেপ্টেম্বর উপজেলার আনন্দনগর গ্রামে তাদের নিজ বাড়িতে আশরাফ লস্করের ইন্ধোনে একই গ্রামের সোবহান শেখ, আমিন শেখ, রিবা বেগম তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে হামলা চালিয়েছে। 
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সেনা প্রধান, আইজিপি, জেলা প্রশাসক, র‌্যাব প্রধান, পুলিশ সুপার, ইউএনও, ডিবি পুলিশ প্রধান, ওসিসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে উপরোক্ত তথ্যাদি বিবেচনা পূর্বক সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

 

্রিন্ট

আরও সংবদ