খুলনা | সোমবার | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১৩ আশ্বিন ১৪৩২

সিলেটের জাফলং পর্যটনকেন্দ্র প্রায় ধ্বংস একই পথে টাঙ্গুয়ার হাওড়

সুন্দরবন বাঁচাতে পর্যটক কমানোর পরামর্শ

খবর প্রতিবেদন |
০১:০৯ এ.এম | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫


সিলেটের জাফলং পর্যটনকেন্দ্র প্রায় ধ্বংস হয়েছে। একই পথে রয়েছে টাঙ্গুয়ার হাওড়। চোখের সামনে নষ্ট হয়েছে সেন্ট মার্টিন। তাই এখনই সুন্দরবনকে রক্ষায় পর্যটক নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছেন এই খাতের বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে রোববার ট্যুরিজম অ্যালায়েন্স সোসাইটি আয়োজিত ‘পর্যটন ও টেকসই রূপান্তর: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন বক্তারা। অনুষ্ঠানটি ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়মা শাহীন সুলতানা। তাঁরা দু’জনেই পর্যটন খাতের উন্নয়নে বেসরকারি উদ্যোগের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্র“তি দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি এইচ এম হাকিম আলী। পর্যটন খাতের উন্নয়নে নতুন এ সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়।
সেমিনারে সংগঠনের সহসভাপতি মফিজুর রহমান বলেন, দুই দশক আগের জাফলং আর এখনকার জাফলংয়ের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। চোখের সামনে সেন্ট মার্টিন ধ্বংস হয়েছে। তাই টেকসই পর্যটন করতে হলে পরিবেশকে সংরক্ষণ করতে হবে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওড় প্রায় শেষ হয়ে গেছে। সুন্দরবনও একই পথে রয়েছে। তাই এসব পর্যটনকেন্দ্র রক্ষায় এখন নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে।
সেন্টার ফর ট্যুরিজম স্টাডিজের চেয়ারম্যান জামিউল আহমেদ বলেন, গত ৫৫ বছরেও দেশের পর্যটন খাতে কোনো তথ্যভান্ডার তৈরি হয়নি। নেই কোনো গবেষণা। পৃথিবীতে পর্যটনের নিয়মে পর্যটন চললেও এ দেশে চলে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ইচ্ছায়।
পর্যটনে ব্যক্তি খাতের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনে সরকারি সব ধরনের পর্যটন সংক্রান্ত অনুষ্ঠান বর্জনের আহŸান জানান ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান অ্যাডভেঞ্চার এসকেপ এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ গোলাম কাদের। তিনি বলেন, ‘দরকার হলে রাস্তায় নামেন।’
বেঙ্গল ট্যুরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ হোসেন বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে টাঙ্গুয়ার হাওরে এখন প্রায় ১ হাজার ৬০০ নৌকা চলাচল করছে, যার ৫৫০টির মধ্যে এসি রয়েছে। সুন্দরবনে ২০০ জাহাজ যায়। এভাবেই আমরা সেন্ট মার্টিন ধ্বংস করেছি।’
আলোচনায় বাংলাদেশের পর্যটন খাতের বিশাল সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে টেকসই চর্চা, ইকো ট্যুরিজম এবং সরকারি সংস্থা, বেসরকারি খাত ও স্থানীয় অংশীজনদের মধ্যে যৌথ সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ