খুলনা | শুক্রবার | ৩১ অক্টোবর ২০২৫ | ১৬ কার্তিক ১৪৩২

হার্টের ৯৫ শতাংশ রোগীকে দেশে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব

খবর প্রতিবেদন |
০৫:৫১ পি.এম | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫


হৃদরোগের ৯৫ শতাংশ রোগীকে দেশেই চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব হার্ট ডে উপলক্ষে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে বিশেষ পেশেন্ট ফোরামের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তাঁরা।

পেশেন্ট ফোরামে অংশ নেন এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এ. কিউ. এম. রেজা, সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. মো: শাহবুদ্দিন তালুকদার, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শামস মুনওয়ার, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আতিকুর রহমান ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. তামজীদ আহমেদ।

এছাড়া এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম)-এর ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কোঅর্ডিনেটর ডা. তাহেরা নাজরীন, হার্ট ফেইলিওর ও অ্যারিদমিয়া ইউনিট এর সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. এম. আতাহার আলী, নন-ইনভেসিভ কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. নিঘাত ইসলাম, কার্ডিওথোরাসিক ও ভাস্কুলার সার্জারীর সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কোঅর্ডিনেটর ডা. মো: জুলফিকার হায়দার, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সোহেল আহমেদ এবং কার্ডিওথোরাসিক এনেস্থেসিয়ার সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কোঅর্ডিনেটর ডা. নিয়াজ আহমেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও ডা. রত্নদীপ চাস্কার এবং গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ।

পেশেন্ট ফোরামে বিভিন্ন রোগী ও তাদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা রোগীদের বিভিন্ন হৃদরোগ বিষয়ক সমস্যা ও রোগ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেন। এছাড়া, মত বিনিময়কালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা প্রতিটি হৃদস্পন্দনের গুরুত্ব তুলে ধরে হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। সেসময় বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা অনিয়মিত স্পন্দনের মতো উপসর্গ অবহেলা না করার পরামর্শ দেন।

চিকিৎসকরা বলেন, নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় রোগ শনাক্ত করা গেলে জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। উচ্চ-রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থুলতা, ধূমপানসহ বংশগত কারণেও হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে, এবং দৈনন্দিন জীবনযাপনে ইতিবাচক পরিবর্তন, যেমন সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত শরীরচর্চা, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, ধূমপান বর্জন, পর্যাপ্ত ঘুম ইত্যাদির মাধ্যমে হার্ট সুস্থ রাখা সম্ভব বলে তারা পরামর্শ দেন।

এছাড়াও, মা ও শিশুর হার্টের যত্ন নিয়েও সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়। জন্মগত হৃদরোগ পরিকল্পিত গর্ভধারণের ৩ মাস আগে এমএমআর টিকা, ডায়াবেটিস মেলাইটাস নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং গর্ভাবস্থায় টেরাটোজেনিক ওষুধ পরিহারের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

চিকিৎসকরা আরো বলেন, শিশুর জন্মগত হৃদরোগ ব্যবস্থাপনার জন্য ফিটাল ইকোকার্ডিওগ্রাফি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তারা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের ফলোআপ করার ওপরও জোর দেন। 

্রিন্ট

আরও সংবদ