খুলনা | শুক্রবার | ০৩ অক্টোবর ২০২৫ | ১৭ আশ্বিন ১৪৩২

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরায় শেষ হলো ৫দিন ব্যাপি শারদীয় দুর্গোৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
১১:৫৫ পি.এম | ০২ অক্টোবর ২০২৫


প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিডে শেষ হলো বাঙ্গালী হিন্দু স¤প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই শুরু হয় বিসর্জন। এর আগে দশমী পূজা, পুষ্পাঞ্জলী. মন্দির প্রদক্ষিণ, দর্পণ বিসর্জন, শান্তি কামনা, প্রসাদ বিতরণ ও যাত্রামঙ্গল পাঠের মধ্য দিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরার ৫৯৩টি মন্ডপে শেষ হয় হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা।
বিকালে নারী পূর্ণার্থীরা মা দুর্গাকে সিঁন্দুর পরান। সাথে সাথে একে অপরকে সিঁন্দুর পরিয়ে দেন। পুরুষরা একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা জানান। সন্ধ্যায় প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপি শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটে। বিজয়া দশমীকে ঘিরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া (কর্মকারপাড়া) সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির, পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়ি ও পলাশপোল সার্বজনীন দুর্গামন্দিরে ভক্তরা পুজা দিতে আসেন। এ সময় ভক্তদের চোখে মুখে ছিল বিষাদের সুর। এসময় শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মন্ডপপ্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে। ঢাক ও কাসরের আওয়াজে ছিল “ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন”। অঞ্জলী প্রদান শেষে তারা মন্দির পরিক্রমা করেন। পরে সারা বিশ্বের সৃষ্টির মঙ্গল ও শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করেন। সকাল সাড়ে ১০টায় যাত্রামঙ্গল শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। পাঁচ দিনব্যাপি পুজায় সাতক্ষীরার জেলার সর্বত্রই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল। কোথাও কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শ্যামনগরের খোলপেটুয়া নদীতে জেলার দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যেও বিসর্জন দেখতে হাজির হন হাজারো মানুষ। দ্বিতীয় টাকি খ্যাত বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দুর্গাবাটির খোলপেটুয়া নদীতে বিসর্জন কার্যক্রমের নিরাপত্তায় পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। বিকালে খোলপেটুয়া নদীর তীরে গিয়ে বিসর্জন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন, থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির মোল­া প্রমুখ। 
অপরদিকে দেবহাটা সীমান্তের ইছামতি নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হাজির হন দুই বাংলার হাজারো মানুষ। নিজ নিজ নদী সীমানার মধ্যে থেকেই তারা প্রতিমা বিসর্জন দেন। তবে অষ্টমীর সন্ধ্যায় কাটিয়া পূজামন্ডপের পাশে গৌতম চন্দ্রর বাড়ির তালা ভেঙে ৬৫ ভরি সোনার গহনা ও দেড় লাখ টাকা লুট, নবমীর রাতে শহরের সার্কিট হাউজ এলাকার মেহেদীবাগে সাংবাদিক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীর বাড়ির তালা ভেঙে ৪০ ভরি সোনার গহনা ও ৯ লাখ টাকা লুটপাটের ঘটনা এবং পুরাতন সাতক্ষীরার ঘোষপাড়া এলাকার ব্যাংক কর্মকর্তা গোবিন্দ ঘোষের বাড়িতে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ ৫০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরির ঘটনায় পূজার আনন্দ কিছুটা হলেও ম্লান হয়ে যায়।

্রিন্ট

আরও সংবদ