খুলনা | শনিবার | ০৪ অক্টোবর ২০২৫ | ১৮ আশ্বিন ১৪৩২

ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি, ১৪৪ ধারা জারি অব্যাহত

খাগড়াছড়ির দু’টি উপজেলায় সহিংসতার ঘটনায় ৩ মামলারই বাদী পুলিশ, আসামি ১২০০

খবর প্রতিবেদন |
০১:১৪ এ.এম | ০৩ অক্টোবর ২০২৫


কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদ ঘিরে খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় সহিংসতার ঘটনায় ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করে। এরমধ্যে খাগড়াছড়ি সদরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে হামলা, ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনায় একটি এবং গুইমারা উপজেলায় ৩ জনকে হত্যা ও ১৪৪ ভঙ্গ করে সহিংসতা করায় আরও একটি মামলা করা হয়। এতে অজ্ঞাত ১২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি। শহর ও উপ-শহরগুলোতে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। দূরপাল­া ও অভ্যন্তরীণ সকল যানবাহন স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে। তবে খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় এখনো ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।
যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অস্থায়ী নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। দুষ্কৃতকারী শনাক্তে চেকিং করা হচ্ছে সবাইকে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় সহিংসতার ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করতে চাইলে আমরা মামলা নেব। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে।’
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ‘অবরোধ না থাকলেও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় এখনো ১৪৪ জারি রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলার উন্নতির ওপর নির্ভর করে ১৪৪ ধারাও প্রত্যাহার করা হবে। পরিবেশ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।’
উলে­খ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় প্রাইভেট পড়া শেষে ফেরার পথে কয়েকজন যুবক এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর সন্দেহভাজন হিসেবে শয়ন শীল (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সব আসামিকে গ্রেফতার ও বিচারসহ ৮ দফা দাবিতে তিন পার্বত্য জেলায় অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ডাকে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। পরে গত মঙ্গলবার রাতে অবরোধ তুলে নেয়। এদিকে ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ছাবের।

্রিন্ট

আরও সংবদ