খুলনা | মঙ্গলবার | ১৪ অক্টোবর ২০২৫ | ২৮ আশ্বিন ১৪৩২

কর্নেল রাজিবকে ফোনে শেখ হাসিনা

‘ধাওয়া দিলে এরা গলিতে গলিতে থাকবে, আর কোনো কথা নাই, এবার শুরুতেই দিবা’

খবর প্রতিবেদন |
০১:২১ এ.এম | ১৪ অক্টোবর ২০২৫


‘ওরা কিন্তু জায়গায় জায়গায় এখন জমা হতে শুরু করেছে। মিরপুর ১০ নম্বর, উত্তরা, তারপরে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং বিভিন্ন জায়গায়। শুরুতেই কিন্তু ইয়ে.....করতে হবে, একদম শুরুতেই। ধাওয়া দিলে এরা গলিতে গলিতে থাকবে। এবার আর কোনো কথা নাই, এবার শুরুতেই দিবা।’ জুলাই আন্দোলন দমনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ডেপুটি সামরিক সেক্রেটারি কর্নেল রাজিবকে ফোনে এমন নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এটি সরাসরি গুলি করার নির্দেশনা ছিলো বলে ট্রাইব্যুনালকে জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
সোমবার জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। এসময় ট্রাইব্যুনালে ‘দ্য ডেইলি স্টারের একটি স্পেশাল ভিডিও রিপোর্ট’ প্রদর্শন করেন চিফ প্রসিকিউটর। এতে জুলাই আন্দোলন দমন ও শেষ সময় পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকতে শেখ হাসিনার বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
ওই ভিডিও প্রতিবেদনে দেখা যায়, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ল’ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির এক কর্মকর্তার মধ্যেকার একটি অডিও কল রেকর্ডের কথোপকথনের কথা বলা হয়। পরে প্রসিকিউশন সেই অডিও কল রেকর্ডটি ট্রাইব্যুনালকে শোনান। কল রেকর্ডে শেখ হাসিনাকে ওই কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, ‘ওরা কিন্তু জায়গায় জায়গায় এখন জমা হতে শুরু করেছে। মিরপুর ১০ নম্বর, উত্তরা, তারপরে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং বিভিন্ন জায়গায়। শুরুতেই কিন্তু ইয়ে.....করতে হবে, একদম শুরুতেই। ধাওয়া দিলে এরা গলিতে গলিতে থাকবে। এবার আর কোনো কথা নাই, এবার শুরুতেই দিবা।’
পরে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম কোর্টকে বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথনের অপরপক্ষের ব্যক্তি হলেন কর্নেল রাজিব, ডেপুটি মিলিটারি সেক্রেটারি। শেখ হাসিনা গত বছরের ১৯ জুলাই এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর। কর্নেল রাজিব বর্তমান পলাতক রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
সূত্র : মানবজমিন অনলাইন 

্রিন্ট

আরও সংবদ