সাতক্ষীরায় পুলিশের সহায়তায় হারানো মোবাইল ও প্রতারণার মাধ্যমে খোয়া যাওয়া টাকা ফিরে পেলেন মালিকরা। জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল গত তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) হারানো ১০৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে। একই সাথে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হয়ে খোয়া যাওয়া ৩ লাখ ৬০ হাজার ২৬০ টাকা উদ্ধার করে ২০জন মালিকের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসের কনভেনশন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব মোবাইল ও টাকা সংশ্লিষ্টদের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মিথুন সরকার ও ডিআইও-১ মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোবাইল ফোন হারানো ২২৫টি জিডি হয়। এর মধ্যে ১০৮টি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার ২০ জন ভুক্তভোগীর মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার ২৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। একই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়রানির শিকার আটজন নারীকে তথ্য ও পরামর্শ সেবা এবং ২১ জনের হ্যাক হওয়া ফেসবুক/ইমো/হোয়াটস অ্যাপ অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করে।

সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইউনিটটি গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫৪৯টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি ৩২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। একই সময়ে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে প্রতারণায় হারানো ৪৩ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ টাকা উদ্ধার করে মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, অপরাধও তত জটিল হচ্ছে। জনগণের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের এ বিশেষ সেল কাজ করছে। ভবিষ্যতে আরও আধুনিক প্রযুক্তি ও জনসচেতনতায় অনলাইন অপরাধ আরও কমে আসবে বলে আশা করি।

তিনি আরও জানান, সাতক্ষীরায় সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত যেকোনো সহায়তার জন্য জেলা পুলিশের হেল্পলাইন সবসময় খোলা রয়েছে। মানুষ দ্রæত তথ্য দিলে পুলিশও তত দ্রæত ব্যবস্থা নিতে পারে।