খুলনা | বুধবার | ১৫ অক্টোবর ২০২৫ | ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

শ্যামনগরে অভিযোজন চর্চা বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা

উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় স্থানীয় জ্ঞান চর্চার বিকল্প নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
১১:৪৭ পি.এম | ১৪ অক্টোবর ২০২৫


সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জলবায়ু পরিবর্তন ও উপকূলের লোকায়ত অভিযোজন চর্চা বিষয়ক এক পরিকল্পনা কর্মশালা মঙ্গলবার উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পানখালী কৃষি প্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এই কর্মশালার আয়োজন করে।  
কর্মশালায় বারসিক এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইউপি সদস্য মোঃ মাহতাব উদ্দিন সরদার, মহিলা ইউপি সদস্য মাছুরা পারভীন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জামাল হোসেন, সাংবাদিক বিলাল হোসেন, পানখালী কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা দলের সদস্য কণিকা রাণী মন্ডল।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় লোকায়ত বা স্থানীয় জ্ঞান চর্চার বিকল্প নেই। এজন্য স্থানীয় জাত বৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে। লোকায়ত কৌশল অবলম্বন করতে হবে। কৃষিতে জৈব চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে। একই সাথে জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোগ স¤প্রসারণ করতে হবে, যাতে প্রাণ ও প্রকৃতি টিকে থাকে। বর্তমানে লবণাক্ততা মোকবেলায় সবজি চাষে রিং পদ্ধতি, টাওয়ার পদ্ধতি, বস্তা পদ্ধতি, স্যালাইন পদ্ধতি, মাচা পদ্ধতি ও বেড পদ্ধতি বেশ উপকার দিচ্ছে।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জামাল হোসেন বলেন উপকূলের কৃষি এখন এক চ্যালেঞ্জের মুখে। লবণ পানির প্রভাব, অনিয়মিত বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসল উৎপাদনে ঝুঁঁকি বেড়েছে। এ অবস্থায় কৃষক ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা স্থানীয় লোকজ জ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে টেকসই কৃষি উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনমূলক কৌশল বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কর্মশালায় স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং পদ্মপুকুর, মুন্সিগঞ্জ, ঈশ্বরীপুর ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্রের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। 
 

্রিন্ট

আরও সংবদ