খুলনা | বুধবার | ১৫ অক্টোবর ২০২৫ | ২৯ আশ্বিন ১৪৩২

মনোনয়ন প্রাপ্তির পাঁচ মাপকাঠি : এলাকায় ‘ক্লিন ইমেজ’, জনপ্রিয়তা, দেশ ও দলের জন্য ত্যাগ রয়েছে, সংগঠনের জন্য অবদান ও দলীয় কোন্দল থেকে মুক্ত

শিগগিরই প্রকাশ হচ্ছে বিএনপি প্রার্থীদের নামের তালিকা, তারেক রহমান দেশে ফিরলে চূড়ান্ত

মাসুদুর রহমান রানা |
০১:১০ এ.এম | ১৫ অক্টোবর ২০২৫


সংসদ নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই জল্পনা-কল্পনা বাড়ছে বিএনপিতে। কারা হচ্ছেন ৩শ’ আসনে আগামী দিনের জনপ্রতিনিধি। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাড়ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পদচারনা, থাকছে তার সমর্থিত নেতা-কর্মীরা। প্যানা-ফ্যাস্টুনে চেয়ে গেছে নয়া পল্টনের প্রধান সড়কসহ অলি-গলি। 
আগামী বছরের ফেব্র“য়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলে। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে ইতিমধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বিএনপি’র সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এরই মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ও অন্য দলগুলোর আগাম ঘোষিত প্রার্থীরা চষে বেড়াচ্ছেন ভোটের মাঠ। এ বিষয়টি গুরুত্ব বিবেচনায় রেখে বিএনপি তার তালিকা প্রস্তুত করছে বলে জানা গেছে।
প্রার্থী বাছাই শেষে শিগগিরই বিএনপি’র সংসদ সদস্য প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ হচ্ছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে তিনিই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবেন। সৎ, যোগ্য ও ন্যায় নিষ্ঠা এবং তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থক ছাড়াও এলাকার ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে দলের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 
বিএনপি’র একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আগামী নির্বাচনকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীর খোঁজে এরই মধ্যে একাধিক মাঠ জরিপ করা হয়েছে। সেই জরিপের ফল এবং দলের নীতিনির্ধারণী নেতাদের মতামত ও তৃণমূলে জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রার্থী তালিকা অনেকটাই চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বেশির ভাগ আসনেই একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকায় মনোনয়ন নিয়ে ব্যাপক বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। কেন্দ্রীয় নেতারা জোর দিচ্ছেন কেউ যেন দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী না হন।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজে এই তালিকা যাচাই-বাছাই করছেন। সব জোট মিত্রদের চূড়ান্ত তালিকা পাওয়ার পর তারেক রহমান দলের শীর্ষ নেতা এবং শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রথমে শরিকদের জন্য বরাদ্দ আসন চূড়ান্ত করবেন। এরপর বিএনপি’র প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশে ফেরার পরেই বিএনপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। তবে তিনি বলেন, চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের অনানুষ্ঠানিকভাবে সবুজ সংকেত দেওয়া হবে শিগগিরই। বিএনপি থেকে কারা মনোনয়ন পাবেন? এরকম প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি’র দু’জন নেতা জানান, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে একাধিক মাপকাঠি নির্ধারণ করেছেন। এর ভিত্তিতেই দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে।
বিএনপি থেকে কারা মনোনয়ন পাবেন? এ রকম প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি’র একাধিক শীর্ষ নেতা জানান, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে পাঁচটি মাপকাঠি নির্ধারণ করেছেন।এর ভিত্তিতেই দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে।  
পাঁচটি যোগ্যতা হলো :-১. এলাকায় ‘ক্লিন ইমেজ’ : এবার প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের ইমেজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যাঁদের বিরুদ্ধে কোনো চাঁদাবাজি, দখল কিংবা অন্য কোনো অভিযোগ নেই, বিএনপি’র মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা সবচেয়ে অগ্রাধিকার পাবেন। 
২. এলাকায় জনপ্রিয়তা : বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উদ্যোগে সারা দেশের নির্বাচনী আসনের ওপর একাধিক জরিপ চালানো হয়েছে। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এই জরিপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেন, প্রার্থীর জনপ্রিয়তা অবশ্যই বিবেচনায় নেওয়া হবে। কিন্তু জনপ্রিয়তা মনোনয়ন প্রাপ্তির একমাত্র মাপকাঠি হবে না। 
৩. দেশ ও দলের জন্য ত্যাগ রয়েছে : গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বিগত ১৭ বছর যাঁরা সীমাহীন অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছেন। যেসব পরিবারের সদস্যরা বিগত স্বৈরশাসনে জীবন দিয়েছেন কিংবা গুম হয়েছেন, বছরের পর বছর কারাভোগ করেছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মনোনয়নের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে। তবে তা হবে যোগ্যতার অন্যান্য শর্ত পূরণ সাপেক্ষে। 
৪. সংগঠনের জন্য অবদান : বিগত ১৭ বছর যাঁরা সংগঠনকে আগলে রেখেছেন। দলীয় কর্মীদের পাশে থেকেছেন, সাংগঠনিক কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন তাঁদের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হবে। 
৫. দলীয় কোন্দল থেকে মুক্ত : যেসব মনোনয়ন প্রত্যাশী দলে কোন্দলে জড়াননি, এলাকায় গ্র“পিং করেননি, তাঁদেরও মনোনয়ন প্রদানে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিএনপি’র নীতিনির্ধারকরা এরই মধ্যে এই পাঁচটি মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রাথমিক মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন। তবে কিছু কিছু আসনে সমযোগ্যতার একাধিক প্রার্থী থাকলে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
বিএনপি’র একাধিক শীর্ষ নেতা জানান, এবার প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় দলটি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে মাঠপর্যায়ে সাংগঠনিক দক্ষতা, আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং এলাকার জনসম্পৃক্ততাকে। অতীতে আর্থিক সামর্থ্য ও প্রভাবশালীদের ওপর নির্ভর করার প্রবণতা থাকলেও, এবার তৃণমূল নেতাদের মতামতকে অগ্রাধিকার দেওয়ার একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে।
এ ছাড়া উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই করতে ইতিমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একাধিক প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে গোপনে প্রার্থী জরিপ করিয়েছেন। এবার প্রার্থিতার ক্ষেত্রে জরিপ প্রতিবেদনকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, যোগ্য প্রাথীদের বিষয়ে আরও বেশ কিছু দিক বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। তা হচ্ছে, বিগত ১৭ বছর রাজনৈতিক কর্মকান্ড, মামলার সংখ্যা, দলের আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ এবং তা সংক্রান্ত ছবি ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ, পরিবারে ভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসীদের তালিকা, তৃণমূলের সাথে সম্পর্ক, ফ্যাসিষ্ট সরকারের সাথে সখ্যতা ও তাদের সাথে ব্যবসায়ী আর্থিক সম্পর্ক এবং শেখ পরিবার, মন্ত্রী ও রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সাথে তোলা ছবি, জুলাই-আগষ্টের পর চাঁদাবাজি, দখলদারি, পতিত সরকারের নেতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ, দলের এবং বিশেষ সংস্থা সমূহ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্য।
সূত্র আরও জানায় উলে­খিত যোগ্যতায় ঘাটতি পড়লে ছিটকে পড়বেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এমন কি ডাক সাইডের নেতাও থাকতে পারেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজেই এ বিষয়ে মনিটনিং করছেন। এখানে কারো মতাম কে প্রাধান্য দেওয়া হবে না। বিএনপি’র চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে আলোচনা করেই চূড়ান্ত করবেন তারেক রহমান। দলের মহাসচিবকে অবগত করা হতে পারে বিষয়টি নিয়ে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। 
সূত্রটি জানায়, তারেক রহমান ইতোমধ্যে তার নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রার্থীদের তালিকা তৈরি হয়েছে। তাতে তিন স্তরে প্রার্থী তালিকা থাকবে।
জানা যায় সম্ভাব্য একক প্রার্থীদের প্রথমে অনানুষ্ঠানিকভাবে সবুজ সংকেত জানানো হবে। মাঠপর্যায়ে তাঁরা প্রচার-প্রচারণা চালাবেন। আসনগুলোয় অন্য যাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন, তাঁরাও সবুজসংকেত পাওয়া প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করবেন। এ সময় তাঁদের কঠোর নজরদারিতে রাখা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে তফসিল ঘোষণার পর দলের পার্লামেন্টারি বোর্ডে মাধ্যমে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হবে। মনোনয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাচ্ছে দক্ষ সংগঠক, আন্দোলনে ভূমিকা, সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যরা। প্রবীণ-নবীনের সমন্বয়ে এবারের মনোনয়ন তালিকায় চমক থাকবে বলে আভাস দিচ্ছেন বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা। তবে যেসব আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি সেখানে তফসিল পর্যন্ত কৌশলী ভূমিকায় থাকবে দলটি। ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে না বহিষ্কারের খড়গও নেমে আসবে।
তবে প্রার্থী তালিকা সম্পর্কে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দলের স্থায়ী কমিটি এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির একাধিক সদস্য সংবাদের বক্তব্য সত্য নয় বলে উলে­খ করেছেন। কেননা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশে না আসা পর্যন্ত কোন তালিকা সম্পর্কে আমরা কেহ অবগত নই। তিনি তালিকা চূড়ান্ত করেছেন, তা প্রকাশও করবেন তিনি। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামন্ডলীর একাধিক সদস্যও অনুরূপ মন্তব্য করেছেন। কেননা সর্তকতার সাথে অনুসরণ করা হচ্ছে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে।
শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দলীয় প্রার্থী নয় আন্দোলনে শরীক দলের কথা বিবেচনায় রেখে প্রার্থীদের তালিকা করা হয়েছে, কেননা সেখানে অনেক ডাক সাইডের নেতাও রয়েছেন। তাদেরকেও বিভিন্ন নির্বাচন এলাকায় মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেক্ষেত্রে দলের তালিকায় রদ-বদল হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে শীর্ষ নেতারা উলে­খ করেছেন। তাছাড়া দল থেকে বহি®কৃত হয়েছেন কিন্তু দল ছেড়ে যাননি বরং দলের আন্দোলন কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন তাদেরকে দলে ফিরানো এবং জনপ্রিয়তা যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন দেওয়ার সবুজ সংকেত আসতে পারে বলে নিশ্চিত করেছেন সূত্রটি।
দলের শীর্ষ নেতবৃন্দ বলেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে মুহূর্ত পর্যন্ত তালিকার রদ-বদল হবে। দেশ ও জাতির স্বার্থ বিবেচনায় রেখে বৃহত্তর জোট গঠন হতে পারে, সেক্ষেত্রে কিছুটা কাট-ছাট হতে পারে তালিকা থেকে। আর সম্পূর্ণ নির্ভর করবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপর। 
দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব নবীন ও প্রবীণ উভয় প্রজন্মকে একসঙ্গে যুক্ত করে নির্বাচনী প্রার্থী নির্ধারণে কাজ করছেন। তবে এবারের নির্বাচনে তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেন-জি ভোটারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বিএনপি তরুণ নেতৃত্বকেও মনোনয়নে অগ্রাধিকার দেবে বলে জানা গেছে।
গত শনি ও রোববার দু’দিন বিএনপি’র নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্ভাব্য একক প্রার্থীদের প্রথমে অনানুষ্ঠানিকভাবে সবুজ সংকেত জানানো হবে। মাঠপর্যায়ে তারা প্রচার-প্রচারণা চালাবেন। আসনগুলোয় অন্য যারা মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন, তারাও সবুজ সংকেত পাওয়া প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করবেন। এ সময়ে তাদের কঠোর নজরদারিতে রাখা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে তফশিল ঘোষণার পর দলের পার্লামেন্টারি বোর্ডে মাধ্যমে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হবে।
দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানুল­াহ আমান, শামসুজ্জামান দুদু, ডঃ আসাদুজ্জামান রিপনসহ দলের একাধিক নেতা জানান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অতীতের ন্যায় আগামীতেও প্রার্থী নির্বাচনে সঠিক সিদ্ধান্ত দিবেন। তারা তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তবে শিগগিরই তালিকা  প্রকাশিত হবে বলে নিশ্চিত করেন নেতৃবৃন্দ।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “প্রত্যেকটি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। অনেক আসনে ১০ জন পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাশী আছেন। আমরা জেলা ও বিভাগভিত্তিক ভাবে যাচাই-বাছাই করছি। খুব শিগগিরই একক প্রার্থীকে মাঠে কাজের অনুমতি (গ্রিন সিগন্যাল) দেওয়া হবে।”
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিভাগভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থায়ী কমিটির সদস্যরা স্থানীয় পর্যায়ে প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে প্রার্থিতা নিয়ে কোনো বিরোধ বা বিদ্রোহী প্রার্থী তৈরি না হয়।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “এখন বিএনপি’র জন্য একটি ইতিবাচক সময়। তাই প্রার্থীর সংখ্যাও বেশি। আমরা যাচাই করছি কে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং জয়ের সম্ভাবনা বেশি তাকে নিয়েই মাঠে নামব।”
এদিকে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আসন ছাড়ের বিষয়টিও দ্রুত সুরাহা করতে চায় বিএনপি। এজন্য মিত্রদের কাছে তালিকা চেয়েছে দলটি। ভোটে জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী থাকলে সর্বোচ্চ ৫০টি আসনে ছাড় দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। সব মিলিয়ে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আগামী মাসেই যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আসন ছাড় দিয়ে সব আসনের একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চায় বিএনপি।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত। একক প্রার্থীর তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। কবে নাগাদ সম্ভাব্য প্রার্থীদের সবুজ সংকেত দেওয়া হবে, সেটা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও নীতিনির্ধারকরা এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবেন।’

্রিন্ট

আরও সংবদ