খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

সাতক্ষীরা জামায়াতের মানববন্ধনে বক্তারা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোন নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
১১:৫০ পি.এম | ১৫ অক্টোবর ২০২৫


পিআর পদ্ধতিকে জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে গণ ভোটের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোডমোড় হতে ইটাগাছা হাটের মোড় পর্যন্ত সড়ক জুড়ে মানববন্ধন করেছে জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখা। বুধবার বিকালে শহরের পৃথক চারটি স্থানে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। 
মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও সাতক্ষীরা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল বলেন ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি’, ‘পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচন’, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ’, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা’ এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা’ এই ৫ দাবি গণমানুষের মুক্তির দাবি। এই ৫ দফা বাস্তবায়িত হলে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
খুলনা রোড মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক ওমর ফারুক। জজ কোর্ট সংলগ্ন সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নেতৃৃত্বদেন সদর জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা হাবিবুর রহমান। নিউমার্কেট মোড়ে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল ও তুফান মোড়ে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমানসহ জামায়াত নেতৃবৃন্দ। এ সময় জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন, হাজার হাজার মানুষ সড়কে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করার পরও যদি সরকারের কানে না যায়, সরকার যদি জনগণের চোখের ভাষা, মুখের ভাষা না বোঝে, তবে সরকার যেই ভাষা বুঝতে চায় জনগণের দাবি সেই ভাষায় দাবি আদায় করা হবে।
মানববন্ধনে অন্যান্য বক্তরা বলেন, যারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চায় না, মেনে নিতে পারছে না, তারা যুক্তি দেখাচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হলে যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে জনগণ ভোটের প্রতি আস্থা হারাবে। যার প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়বে। এজন্যই জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হওয়া জরুরি। কারণ যারা সমস্যা সৃষ্টি করবে, তারা জনগণ ও সরকারের কাছে চিহ্নিত হবে। তাদেরকে চিহ্নিত করতে হলেও গণভোটকে জাতীয় নির্বাচনের টেস্ট ম্যাচ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। তিনি সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়ে বলেন, নভেম্বরের মধ্যে গণভোট এবং ফেব্র“য়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ