খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

আমি নিজেই পিআর বুঝি না : মির্জা ফখরুল

দাবি দাওয়া আপাতত বন্ধ রাখুন বিভাজন সৃষ্টি করবেন না

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৬ এ.এম | ১৬ অক্টোবর ২০২৫


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কিছু প্রতিষ্ঠান দাবি আদায়ে রাস্তায় নেমেছে, তাদের উদ্দেশ্য ভালো মনে হয় না। আপনাদের দাবি দাওয়াগুলো আপাতত বন্ধ রাখুন। আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না। বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনীয় জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপি’র মহাসচিব বলেন, পিআর আমি নিজেই বুঝি না। দেশটাকে বাঁচান, বিভাজন সৃষ্টি করবেন না। গণভোট আর পিআর ছাড়া নির্বাচন হবে না, এসব দাবি দাওয়া- মিছিল করে তারা নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণভোট হতে হবে বা পিআর হতে হবে, না হলে ভোট হবে না, এইগুলো বাদ দেন। দেশের মানুষ একটি নির্বাচন চায়। পিআর দেশের মানুষ বোঝে না। পিআরটা আবার কি? আগে ভোট হউক তারপর কার কি দাবি আছে সেটা সংসদে গিয়ে আলাপ-আলোচনা করে সিন্ধান্ত নেওয়া যাবে।
তিনি বলেন, পিআর নিয়ে মিছিল-মিটিং বন্ধ করুন। দয়া করে নির্বাচনটা হতে দেন। বাংলাদেশের মানুষ বাঁচুক। দেশের অস্থিরতা কাটুক। আপনাদের কাছে অনুরোধ সঠিক সিন্ধান্ত নিন।
তিনি বলেন, পিআর নিয়ে তর্ক-বিতর্ক পার্লামেন্টে গিয়ে হবে। যে-সব মতে দলগুলো একমত সেগুলো জুলাই সনদে সাক্ষর হবে। বাকী মতের জন্য গণভোট হবে। দয়া করে নির্বাচনটা দিয়ে এসব অস্থিরতা কাটান। আর হিংসার রাজনীতি চাই না। হিন্দু-মুসলিমের বিভেদ চাইনা। সবাই মিলে শান্তিতে থাকতে চাই।
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, আগামী ১৭ অক্টোবর সংস্কার সনদে স্বাক্ষর হবে। কিসের সংস্কার? সংস্কার কাকে বলে? কি কঠিন কঠিন শব্দ। তারপরও আমরা করতেছি। কারণ সংস্কার হলো ঘরের টিন বদলানোর মতো। ঘরের দরজা বা টিন যেমন কয়েক বছর পরপর বদলাতে হয় তেমনি রাজনীতিতেও কিছু সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। তাই আমাদের দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ও ছাত্ররা মনে করেছে দেশটাকে ঠিক করতে হলে সংস্কার করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা প্রতিহিংসা ও বিভেদের রাজনীতি চাই না। আমরা চাই একটি শান্তির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক। আর ভাগাভাগি করিয়েন না। দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সবাই মিলে সত্যিকার অর্থে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমি ১১ বার কারাগারে গেছি। শেখ হাসিনা আমাকে ভয় করতো, যে কারণে কারাগারে পাঠাতো। একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য আমাদের অনেক ছেলে প্রাণ দিয়েছে। তাই আসুন সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অতীতে সরকারে ছিলাম কিভাবে পরিচালনা করতে হয় জানি। বিএনপি নির্বাচিত হলে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যকটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য-শিক্ষা খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। কৃষকদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া হবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ যাকে ভোট দেবে তিনি নির্বাচিত হবেন। আর ভাগাভাগি করবেন না, দেশটার ক্ষতি করবেন না। একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চাই। সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বের মধ্যে থাকতে চাই। এ সময় বিএনপি’র জেলা সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ দলটির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ